হাতির হানায় ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে হলদিবাড়ি চা বাগানের দু’টি বাংলো। —নিজস্ব চিত্র।
বছরখানেক আগে সঙ্গীর মৃত্যুর প্রতিশোধই কি নিল হাতির দল? সোমবার গভীর রাতে বানারহাটের হলদিবাড়ি চা বাগানে হামলার পর এ প্রশ্নই তুলছেন সেখানকার শ্রমিকেরা। একই মত পরিবেশপ্রেমীদেরও।
চা বাগান সূত্রে খবর, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়ি চা বাগানের অন্তর্গত হলদিবাড়ি চা বাগানে এক দল হাতি হামলা চালায়। বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার এবং ডিরেক্টরের বাংলোর দেওয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ওই দলটি। রাত দেড়টা নাগাদ মোরাঘাট জঙ্গল থেকে চা বাগানের শ্রমিক লাইনে ঢুকে পড়ে একদল বুনো হাতি। শ্রমিকেরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করলে সেখান থেকে অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার এবং ডিরেক্টরের বাংলোতে ঢুকে হামলা চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার হলদিবাড়ি চা বাগান থেকে কিছুটা দূরে মোরাঘাট হিন্দি কলেজের পাশে এয়ারফিল্ড এলাকায় দিনভর ১৪-১৫টি হাতির একটি দল আটকে ছিল। অনুমান, ওই দলটিই রাতে হামলা করতে পারে। বাগানের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার কানাইলাল মহাপাত্র বলেন, ‘‘চা বাগানে মাঝেমধ্যেই বুনো হাতির পাল ঢুকে পড়ছে। রাত দেড়টা নাগাদ আচমকাই হাতির দল ঢুকে পড়ে বাংলোয়। আমার স্টোর রুম ভেঙে দেয়। হামলায় সাইকেল ও মোটরবাইকের নষ্ট হয়েছে। পালানোর চেষ্টা করলে দেখি, আমার দরজার সামনেও হাতি দাঁড়িয়ে রয়েছে। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বাগানের শ্রমিকেরা এসে বাজিপটকা ফাটিয়ে ট্র্যাক্টর দিয়ে হাতির দলটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দিলে স্বস্তি পাই।’’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে ডুয়ার্সের এই চা বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল একটি পূর্ণবয়স্ক বুনো হাতির। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই দলের হাতিরাই সোমবার হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy