প্রতীকী চিত্র।
রেলের ভাঁড়ারের দুর্দশা কাটাতে অন্যান্য ব্যবস্থার পাশাপাশি সম্প্রতি কিছু ট্রেনে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অন্যান্য খাতে আয় বাড়াতে এ বার ট্রেনে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে যাত্রীদের কাছে সিনেমা এবং মিউজ়িক ভিডিয়োর মতো বিনোদন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে রেল।
এই ‘কন্টেন্ট অন ডিমান্ড’ (সিওডি) পরিষেবা ব্যবস্থা অনেকটা অ্যামাজ়ন-নেটফ্লিক্সের ঢঙে কাজ করবে। রেলেরই সংস্থা ‘রেলটেল’ প্রাথমিক ভাবে এই পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করে ১০ বছরের জন্য একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। প্রথম সারির মেল, এক্সপ্রেসে বটেই, প্যাসেঞ্জার এবং শহরতলির লোকাল ট্রেনেও এই পরিষেবা চালু করতে চায় রেল। সারা দেশে ওয়াইফাই চালু হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি স্টেশনে। সেখানেও এই পরিষেবা মিলবে। ট্রেন চললেও এই ব্যবস্থায় মোবাইলে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ভিডিয়ো দেখায় কোনও বিঘ্ন ঘটবে না বলে দাবি রেল-কর্তৃপক্ষের। সেই জন্য ট্রেনে বিশেষ যন্ত্র বসানো হবে।
তবে মোবাইলে এই বিনোদন যে সব সময় নিখরচায় মিলবে, তা নয়। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিনামূল্যের পাশাপাশি গ্রাহক-মূল্য নিয়েও এই পরিষেবা দেওয়া হবে। এই ব্যবস্থায় বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে আয় হবে রেলের। ই-কমার্স সংস্থার পণ্য বিক্রির সুযোগ করে দিয়েও আয় বাড়ানো হবে। এ ছাড়াও রেলের নির্দিষ্ট সাইট থেকে ক্যাব, বাস, ট্রেনের টিকিট বুক করা যাবে। বিভিন্ন ট্রেনে প্রয়োজনীয় যন্ত্র বসিয়ে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রূপায়ণে আরও দু’বছর লাগতে পারে।
চলতি আর্থিক বছরে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ থেকে আশানুরূপ আয় হয়নি রেলের। ট্রেনের গায়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্র্যান্ডিংয়ের পরিকল্পনাতেও তেমন সাফল্য আসেনি। ঘটা করে স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা সাড়া জাগাতে পারেনি। তবে প্রথম সারির স্টেশনগুলিতে বিনামূল্যের ওয়াইফাই ব্যবহারে যাত্রীদের আগ্রহ দেখা গিয়েছে। স্টেশনে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের মতো চলন্ত ট্রেনেও যাত্রীরা মোবাইলে বিনোদন পেতে চান। যাত্রীদের সেই প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে আয়ের রাস্তা খোলাই রেলের লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy