বর্ধমান শহরে চলছে আতসবাজি বিক্রি। ছবি: উদিত সিংহ
কালীপুজো, দীপাবলিতে বাজির উপদ্রব রুখতে এ বার আইনি লড়াইয়ের পথে পরিবেশকর্মীরা। রাজ্যের পরিবেশকর্মীদের যৌথ সংগঠন সবুজ মঞ্চ আজ, শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারে। সংগঠনের সম্পাদক নব দত্ত বলেন, “বাজি রুখতে মামলার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সই সংবলিত একটি চিঠি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে।” তাঁর অভিযোগ, গ্রিন ক্র্যাকার বা পরিবেশবান্ধব বাজির নামে ঘুরপথে দূষিত বাজি পোড়ানোর রাস্তাই প্রশস্ত করা হচ্ছে।
কালীপুজো, দীপাবলিতে গ্রিন ক্র্যাকার বা সবুজ বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই এ রাজ্যে বাজি পোড়ানোর নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। নববাবুর বক্তব্য, জাতীয় পরিবেশ
আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গ্রিন বাজিকে ছাড় দেওয়া হল। তা হলে গত বছর কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট যে সব বাজির উপরেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তার উল্লেখ করা হল না কেন? কোচবিহারের একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তাপস বর্মণ জানান, তাঁরা ওই নির্দেশিকার ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছেন।
পরিবেশ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, গ্রিন ক্র্যাকার বা সবুজ বাজি বলতে কী বোঝায় তার নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। এই ধরনের বাজি তৈরি করতে হলে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (নিরি)-র শংসাপত্র প্রয়োজন। এই বাজির প্যাকেটে নিরির নির্দিষ্ট লোগো ব্যবহৃত হয়। সত্যতা যাচাইয়ে থাকে কিউআর কোডও। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, দেশের কটি কারখানায় এই বাজি তৈরি হয়? আমজনতা কি আদৌ বাজি কেনার সময়ে এত যাচাই করবে? আশঙ্কা, প্রশাসন যাই বলুক, বাজারে পুরনো বাজিই নতুন মোড়কে বিক্রি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy