দুর্গাপুরের সুচেতা সরকার এবং তাঁর শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগে ধৃত সমরেশ সরকারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল শ্রীরামপুর আদালত। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নচিকেতা বেরার এজলাসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৯ অগস্ট সুচেতা এবং তাঁর শিশুকন্যার দেহের খণ্ডাংশ নদীতে ফেলতে গিয়ে ধরা পড়েন সমরেশ। ৩০ অগস্ট তাঁকে তোলা হয় শ্রীরামপুর আদালতে। সমরেশকে ১২ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই মেয়াদের শেষে বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে তোলা হয়। এ দিন অবশ্য পুলিশ সমরেশকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি।
এ দিন গামছায় মুখ ঢাকা অবস্থায় সমরেশকে যখন আদালতে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি চুপচাপই ছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিচ্ছিলেন না। কিন্তু সাংবাদিকরা যখন তাঁর ছেলে-মেয়ের কথা তোলেন, তখন কেঁদে ফেলেন সমরেশ। অবশ্য এজলাসে তাঁকে স্বাভাবিক অবস্থাতেই দেখা যায়। এক আইনজীবীর সঙ্গে এক বার নীচু গলায় কথাও বলেন তিনি। বিচারক যখন জানতে চান, তাঁর তরফে কোনও আইনজীবী উপস্থিত আছেন কি না, তখন মাথা নেড়ে অস্ফুটে ‘না’ বলেন তিনি। এর পর বিচারক জানতে চান, তাঁর বাড়ির লোকেরা কেউ উপস্থিত আছেন কি না! এই প্রশ্নের উত্তরেও মাথা নাড়েন সমরেশ। তার পরেই বিচারক সমরেশকে ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এর আগে জেল হেফাজতে থাকার সময়ে সমরেশ অবশ্য পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। পুলিশ যা জানতে চেয়েছে, শান্ত ভাবে তার জবাব দিয়েছেন। শুধু একটি প্রশ্নেই তাঁর বয়ান পাল্টাননি তিনি। আগাগোড়া পুলিশের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, খুন তিনি একাই করেছেন। এ ব্যাপারে তাঁর কোনও সহকারী ছিল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy