Advertisement
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
TMC

KMC Election 2021: কেউ ভোট দিতে বাধা দিলে আমাকে বলুন, এভাবেই ভোট চাইছেন বিদায়ী মেয়র পারিষদ তারক

হোর্ডিংয়ে নিজের নম্বরের পাশাপাশি, বেহালা থানার বড়বাবু প্রসেনজিৎ পোদ্দার ও নিউআলিপুর থানার ওসি শৈবাল রায়ের নম্বর দেওয়া হয়েছে।

 ভোটদানে কেউ বাধা দিলে তাঁকে জানাতে অনুরোধ তারক সিংহ-র।

ভোটদানে কেউ বাধা দিলে তাঁকে জানাতে অনুরোধ তারক সিংহ-র। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:০৯
Share: Save:

ভোটদানে সাধারণ মানুষকে বাধা দেওয়া যাবে না। প্রার্থীদের সঙ্গেবৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই ভোটের প্রচার করছেন বিদায়ী মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ। নিউ আলিপুর লাগোয়া বেহালা জনপদের ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গত ১১ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। তৃতীয় বারের জন্য এই ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। সেই ওয়ার্ডেই নিজের প্রচারে এক ধরনের হোর্ডিংয়ের ব্যবহার করেছেন তারক। তাতে লেখা হয়েছে, ‘সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট দান করার সময় যদি আপনাকে কেউ বাধা দান করে তা হলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন, আমি আপনাকে নিজে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে দেব।’

এই হোর্ডিংয়ে নিজের নম্বরের পাশাপাশি, বেহালা থানার বড়বাবু প্রসেনজিৎ পোদ্দার ও নিউআলিপুর থানার ওসি শৈবাল রায়ের নম্বর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলছেন, ‘‘আমি আগে ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ছিলাম। তখনও মানুষকে ভোটদানের জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে উৎসাহ দিতাম। আর ২০১০ সাল থেকে ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেলাম, এখনও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য সবরকম সুযোগ সুবিধা দিয়েছি। তাতে আমার জয়ের ব্যবধান বেড়েছে। তাই আমার ওয়ার্ডের ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতেই আমি এলাকা জুড়ে হোর্ডিং লাগিয়েছি।’’ কোনও ভোটার নিজে ভোট দিতে পারেননি, এমন অভিযোগ শুনতে চান না তারক।

শুধু নিজেই নয়, এ বারে ভোটে তারকের সঙ্গে তাঁর পুত্র ও কন্যাও ভোটের ময়দানে। ২০০০ সাল থেকে তাঁর মেয়ে কৃষ্ণা ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আর ছেলে অমিত উপনির্বাচন জিতে ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের পাল্টা তারকের যুক্তি, ‘‘আমার ছেলে ও মেয়ে প্রার্থী হয়েছে দলের অনুমতিক্রমে। সেখানে আমরা কোনও হাত নেই। তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করেই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। তবে যে বা যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলছেন, তাঁরা ভারতের রাজনীতির দিকে চোখ তুলে তাকান।’’এরপরেই বিজেপি-র কৈলাস বিজয়বর্গীয়-আকাশ বিজয়বর্গীয়, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া–দুষ্মন্ত সিংহ, রাজনাথ সিংহ–পঙ্কজ সিংহ,প্রেমকুমার ধুমল-অনুরাগ ঠাকুর — এমন সব পারিবারিক যোগের কথা উল্লেখ করছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE