Advertisement
E-Paper

কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত মালদহের ৯

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কার্পেটের আড়ালে বাজি-ব্যবসা চলত ওই দোকানে। প্রচুর পরিমাণ বাজি ও বাজি তৈরির মশলা মজুত করা ছিল দোকানের পিছনে কারখানায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৮
বিস্ফোরণের পরে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।

বিস্ফোরণের পরে উদ্ধারকাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।

সাধারণ একটা কার্পেটের দোকান। পিছনে লাগোয়া কারখানা। প্রতিদিনের মতো আজ দুপুরেও কাজ চলছিল সেখানে। আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা। উত্তরপ্রদেশের ভদোহীর রোহতা বাজার এলাকার এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এর মধ্যে ৯ জনই মালদহের বাসিন্দা। জখম কমপক্ষে ৬। খোঁজ নেই অনেকের।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কার্পেটের আড়ালে বাজি-ব্যবসা চলত ওই দোকানে। প্রচুর পরিমাণ বাজি ও বাজি তৈরির মশলা মজুত করা ছিল দোকানের পিছনে কারখানায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের তিনটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। দোকানটি যে বাড়িতে ছিল, সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সেটি। অনুমান করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে রয়েছেন আরও অনেকে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। জখমদের যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ-ও জানিয়েছেন, দেহগুলি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে রাজ্য পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রবিবার মালদার এনায়েতপুরে যাচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম ও শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সকালে এনায়েতপুরে যাবেন তৃণমূল নেত্রী মৌসম নুরও। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি।

বছরের পর বছর ধরে ভদোহীতে কার্পেট তৈরি করতে যান মালদহের মানিকচকের বহু শ্রমিক। আজ কার্পেট কারখানার বিস্ফোরণে মৃত ৯ বাঙালিই মানিকচকের বাসিন্দা। ৮ জনের বাড়ি এনায়েতপুর গ্রামে। আর এক জন থাকতেন মানিকচকেরই কামালপুরে। কার্পেট কারখানায় বিস্ফোরণে স্তম্ভিত মানিকচকের বাসিন্দারা। এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আবু কালাম আজাদ বলেন, ‘‘কার্পেট তৈরির কারখানায় বাজি কোথা থেকে এল বুঝতে পারছি না।” আজ বিকেলে গ্রামে পৌঁছন মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ। তাঁদের কাছে ঘটনার তদন্তের দাবি করেন গ্রামবাসী।

আরও পড়ুন: কী করে দুর্ঘটনা, শোকের মধ্যেও অবাক এনায়েতপুর

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কার্পেটের দোকান মালিকের নাম কলিয়র মনসূরি। দোকানের পিছনেই তাঁর কার্পেট তৈরির কারখানা। স্থানীয় বাসিন্দারাও দাবি করেছেন, ওই কারখানা আসলে মনসূরির বেআইনি বাজির গুদাম। এসপি রাজেশ এস জানিয়েছেন, চৌরি থানার এসএইচও অজয়কুমার সিংহ এবং পুলিশ চৌকির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রমোদ কুমার বর্মাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বারাণসীর আইজি পীযূষ শ্রীবাস্তবের কথায়, ‘‘একটাই বাঁচোয়া, বিস্ফোরণের সময়ে কারখানায় শ্রমিক কম ছিল।’’

Death Explosion Carpet Factory Uttar Pradesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy