ডাক্তারবাবু যে রেজিস্ট্রেশন নম্বরে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করছেন সেটি আসলে তাঁর নয়, অন্য কোনও চিকিৎসকের!
রাজ্যজুড়ে এই রকম ভেকধারী ভুয়ো চিকিৎসক ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে। জাল চিকিৎসক সম্পর্কে তাদের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল সিআইডি-ও। গত ২৫ মে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এই রকম ৭ জন চিকিৎসকের নামের তালিকা জমা দিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তার ভিতরেই ছিল নরেন পাণ্ডে-র নাম, যিনি অন্য এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ত্বক বিশেষজ্ঞ হিসাবে রমরমিয়ে প্র্যাকটিস চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কাউন্সিলের তালিকা জমা পড়ার ঠিক পরের দিন এন্টালির এক চেম্বার থেকে এঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্থানীয় মানুষ, স্থানীয় থানা, রেল এবং ডাক বিভাগ থেকে আমরা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছিলাম। কয়েকটা নাম আমাদের সিআইডিও দিয়েছিল। তথ্যপঞ্জী ঘেঁটে আমরা দেখলাম, এই সাত জনের নাম মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রিতে নেই এবং তাঁরা অন্য চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করছেন।’’ এ ছাড়াও আরও কিছু নাম তাঁদের কাছে রয়েছে বলে জানান মানসবাবু। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে এই ভেকধারী চিকিৎসকেরা যেভাবে খেলা করে পয়সা রোজগার করছেন তাতে কাউন্সিল উদ্বিগ্ন এবং আতঙ্কিত।