Advertisement
E-Paper

রাতেও চলছে মাঠ ঘেরার কাজ

স্থানীয়দের আশঙ্কা, ঘেরার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আগাছা আরও বাড়বে।

সৌরভ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ০৩:১৭
n নির্মাণ কাজের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে এই রাস্তা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের রাস্তায় তৈরি হচ্ছে গেট। নিজস্ব চিত্র।

n নির্মাণ কাজের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে এই রাস্তা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের রাস্তায় তৈরি হচ্ছে গেট। নিজস্ব চিত্র।

জোরকদমে চলছে পৌষমেলার মাঠ ঘেরার কাজ। পাঁচিল তৈরির কাজ মোটামুটি শেষ। পাঁচিলের উপরে লোহার ফেন্সিং লাগানোর কাজও শেষের দিকে। এখন শুধু রঙের প্রলেপ পড়া বাকি। তবে শ্রমিকদের বিশ্রাম নেই, রাত্রের দিকে কৃত্রিম আলো লাগিয়েও চলছে কাজ শেষ করার পালা।

হাইকোর্ট নিযুক্ত চার সদস্যের কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে, সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ থেকে মেলার মাঠ ঘেরার কাজে নতুন করে হাত লাগায় বিশ্বভারতী। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ লিখিত আকারে সাধারণের উদ্দেশে প্রকাশিত না হলেও বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছিল, চার সপ্তাহের মধ্যে মাঠ ঘেরার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিটি। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কাজ সম্পূর্ণ হয়নি এখনও। তাই শেষ মুহূর্তের কর্মতৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। তবে, মাঝে দুর্গাপুজোর সময় বাদ দিয়ে দ্রুতগতিতেই কাজ হচ্ছে বলে মত বেশ কিছু কর্মীর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে তাঁদের দাবি।

ঘেরার কাজ শুরুর পর থেকেই মাঠে খেলাধুলোর পরিমাণ কমে গেছে অনেকটা। মেলার মাঠের একটি বড় অংশ আগাছায় ঢেকে গিয়েছে। মাঠের সীমানার দিকগুলি মুখ ঢেকেছে প্রায় এক মানুষ উঁচু আগাছার জঙ্গলে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, ঘেরার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আগাছা আরও বাড়বে। বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে মাঠ ঘেরার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আন্তর্জাতিক অতিথিনিবাসের সামনে দু’টি বড় গেট তৈরি করা হচ্ছে। ইতিপূর্বেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের অংশটিকে ‘নো ডিস্টার্ব জ়োন’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিশ্বভারতী। এই গেট দু’টি তৈরি হলে ওই অংশে প্রবেশ এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র নুরুল হক বলেন, “এই গেটগুলির জন্য পূর্বপল্লির বাসিন্দাদের যাতায়াতে সমস্যা হতে পারে।’’ আশঙ্কা সত্যি করে শুক্রবার রাতেই নোটিস জারি করে বিশ্বভারতী জানিয়েছে, আজ, শনিবার থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত নির্মাণকাজের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক অতিথিনিবাস পর্যন্ত রাস্তাটি বন্ধ রাখা হবে। বিকল্প যে রাস্তা খোলা হচ্ছে, তা শুধুই হেঁটে বা সাইকেলে যাতায়াতের জন্য।

পাঁচিল দেওয়ার প্রতিবাদে গত ১৭ অগস্ট উত্তেজিত জনতার তাণ্ডবে ভাঙা পড়েছিল ভুবনডাঙা সংলগ্ন প্রধান গেট। সেই গেট তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। তবে, ওই স্থানে হাইকোর্টে নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে পুলিশি প্রহরার যে বন্দোবস্ত ছিল, তা এখন আর নেই। পুলিশের তাঁবু যথাস্থানে থাকলেও শুক্রবার সেখানে এক জন পুলিশকর্মীও চোখে পড়েননি। সে ক্ষেত্রে ওই তাঁবু মাঠে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে এই বিষয়ে পুলিশ বা বিশ্বভারতী, কোনও পক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Biswa Bharati Fencing Wall Field
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy