প্রতীকী চিত্র।
টানা লম্বা ছুটির নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। কিন্তু তার মধ্যেই মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিং জেলার একাধিক স্কুল সোমবার খোলা ছিল। মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে সোমবার পরীক্ষা হয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যামন্দির খোলাই থাকবে। হবে মিড ডে মিলও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বামী সুরাত্মানন্দ বলেন, “স্কুল ছুটির সরকারি নির্দেশ আমরা পেয়েছি। কিন্তু মালদহে এখনও তেমন গরম পড়েনি যে, স্কুল ছুটি দিতে হবে। তবে পরিস্থিতি বদলালে তা নিশ্চয় বিবেচনা করা হবে।’’ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস বিশ্বাস বলেন, “ওই স্কুলেও ছুটির নির্দেশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্বশাসিত পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁরা ক্লাস চালাবেন।”
উত্তর দিনাজপুরের বেশ কিছু স্কুলেও পরীক্ষা নেওয়া হয়। তার মধ্যে রায়গঞ্জের শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের প্রধানশিক্ষক নীলমাধব নন্দীর দাবি, ‘‘পড়ুয়াদের স্বার্থেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ৮ মে-র পর ছুটি দেওয়া হবে।’’ হাতিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম সিংহ জানান, তাঁরাও পরিচালন সমিতির সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মেনে এ দিন পরীক্ষা নেন। ভূপালচন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক উৎপল গোস্বামীও একই কথা জানান। জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা অবশ্য বলেন, ‘‘সরকারি ছুটির নির্দেশ অমান্য করে জেলার কোন কোন স্কুলে পরীক্ষা হয়েছে, তা দেখে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি কনজবল্লভ গোস্বামীর দাবি, ‘‘এখন ফণীর জন্য ছুটি চলছে। এ দিকে ফণীর প্রভাব পড়েনি। তা ছাড়া, সরকার পরীক্ষা বন্ধের কথা বলেনি।’’ দীর্ঘ ছুটির প্রতিবাদে আন্দোলনও অব্যাহত। জলপাইগুড়ি বেরুবাড়ি তফসিলি ফ্রি হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এক কিলোমিটার রাস্তা মিছিল করে। জলপাইগুড়ি হলদিবাড়ি রাজ্য সড়কও অবরোধ করে তারা। স্কুল ছুটি থাকায় দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহর লাগোয়া বলরামপুর হাইস্কুলেও ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।।
সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোর দু’মাস গরমের ছুটি প্রত্যাহার করে স্কুল খোলার দাবিতে ১৫ মে কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত মিছিল করবে এই সংগঠনের সাধারণ নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy