প্রতীকী ছবি।
স্কুল স্তরে নানা ক্ষেত্রে নিয়োগে দেরির জন্য দুর্নীতির তদন্তে শ্লথ গতির দিকে আঙুল উঠছে নিরন্তর। তবে এ বার এই বিলম্বের জন্য বাম আইনজীবী শিবিরের একাংশকেও দায়ী করছেন কিছু কর্মপ্রার্থী। সোমবার কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার শিক্ষকপদ প্রার্থীরা পথে নেমে অভিযোগ করেন, কিছু বাম আইনজীবীর কারণেই তাঁদের নিয়োগ আবার বিশ বাঁও জলে। এর আগে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ স্তর থেকেও অভিযোগ উঠেছিল, এক দল বাম-মনস্ক আইনজীবীর জন্য চাইলেও নিয়োগ করা যাচ্ছে না। ওই সব কৌঁসুলিই বার বার আদালতে গিয়ে নিয়োগ আটকে দিচ্ছেন।
কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার কর্মপ্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে সুপারিশপত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তার পরে ফের মামলা হওয়ায় ওই প্রার্থীদের নিয়োগপত্র আটকে গিয়েছে। আদালতের প্রশ্ন, অযোগ্যদের বাতিল না-করে নতুন করে শূন্য পদ তৈরি করে চাকরি দেওয়া হচ্ছে কী ভাবে?
এ দিন রাস্তায় নামা প্রার্থীরা অবশ্য জানান, তাঁদের জন্য সরকার যে-সব অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করেছে, সেখানে কোনও আইনি জটিলতা নেই। তাঁদের মেধা-তালিকায় কোনও অযোগ্য প্রার্থীও নেই। তাই অযোগ্যদের আগে বাদ দেওয়ার বিষয়টিও তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এক প্রার্থী বলেন, ‘‘নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে চাকরি দেওয়ার বিষয়কে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই অনিয়মের নিয়োগ হয়েছে। তার সঙ্গে আমাদের গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে।’’
ওই প্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁরা এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে সুপারিশপত্র পেয়ে গিয়েছেন। কোন স্কুলে কাকে চাকরি করতে হবে, তা-ও নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু নিয়োগপত্র পাওয়াটুকুই বাকি। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ওই চাকরিপ্রার্থীরা এ দিন দুপুরে সুপারিশপত্র গলায় ঝুলিয়ে শিয়ালদহ থেকে রানি রাসমণির মূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করেন।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চাকরি আড়াল করতে রাজ্য সরকার ফাঁদ পেতেছে। সরকারের দেওয়া হলফনামাতেও সেটা স্পষ্ট। সেই জন্য আদালত প্রশ্ন তুলেছে। সকলের কাছে আবেদন, সরকারের ফাঁদে পা দেবেন না। সতর্ক থেকে লড়াই চালান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy