দুই জেলার তিন লোকসভা আসনেই হারতে হয়েছে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে। তৃণমূলের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল হার। কিন্তু বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের তৃণমূল নেতাদের শুক্রবার ভোকাল টনিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন। তৃণমূল ঘুরে দাঁড়াবে এবং ২০২১ সালে তৃণমূলই ফিরে আসবে— মন্তব্য নেত্রীর। তৃণমূল সূত্রের খবর, জনসংযোগ বাড়ানোর কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বার বার বলেছেন। তবে দলেরই কেউ কেউ বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন, বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলেও এ দিন তিনি মন্তব্য করেছেন। সবাইকে চিহ্নিত করুন— দলকে নির্দেশ নেত্রীর।
‘‘কাকে ভয় পাচ্ছেন?’’ এ দিনের বৈঠকে প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর বার্তা দিয়ে নেত্রীর মন্তব্য: ‘‘লড়াই করুন, একুশে (২০২১ সালে) ঘুরে দাঁড়াব...একুশে আমরা ফিরে আসব।’’
রাজনীতিতে প্রায় আনকোরা বীরবাহা সরেন এ বার ঝাড়গ্রামে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন। বিজেপির কুনার হেমব্রমের কাছে তিনি হেরেছেন তো বটেই, বাঁকুড়ায় বিজেপির সুভাষ সরকারের কাছে হেরেছেন রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সৌমিত্র খাঁয়ের কাছে বিষ্ণুপুরে হেরেছেন আর এক মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। পশ্চিমাঞ্চলে এই রকম ধাক্কা অপেক্ষায় রয়েছে, ভোটের ফল প্রকাশের আগে তা বিশ্বাসই করতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই ফলাফল দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল অনেকেরই। রাজ্যের অন্য কয়েকটা প্রান্তের মতো পশ্চিমাঞ্চলেও তৃণমূলের সংগঠনে আচমকা রদবদল ঘটিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠকও করলেন তিনি। বেশ কয়েক জন নেতা এ দিন দলনেত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন। আর প্রত্যেককে সতর্ক করে দিয়ে নেত্রী বার্তা দিলেন— সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে জনসংযোগে।