জগতিপোতা এলাকায় আগুন লেগে যাওয়া গাড়ির ওয়ার্কশপ। নিজস্ব চিত্র
নরেন্দ্রপুরের জগতিপোতায় একটি গাড়ি সংস্থার ওয়ার্কশপে ৩৫-৪০টি গাড়ি রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আগুন লেগে ন’টি গাড়ি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়েছে বলে দমকল সূত্রের খবর। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় কয়েকটি গাড়ি রক্ষা পায়।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা আড়াইটে নাগাদ ওয়ার্কশপে আগুন লাগে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। বিকেল ৪টে নাগাদ আগুন আয়ত্তে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু।
এলাকাবাসী জানান, ওয়ার্কশপে আগুন লাগার পরেই স্থানীয় কিছু লোক কয়েকটি গাড়ি সরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু ন’টি গাড়িকে সরানো যায়নি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই কারখানায় পেট্রল, ডিজেল-সহ বিভিন্ন তরল রাসায়নিকের ড্রাম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ওয়ার্কশপের চার পাশে রয়েছে কয়েকটি বহুতল। আগুন লাগায় সেই সব বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লাগোয়া একটি আবাসনের বাসিন্দা রীতা সিংহরায় বলেন, ‘‘আমার এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম যে, আবাসন থেকে সকলেই বাইরে চলে আসি। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। তেলপোড়া কটু গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পরে দমকল এসে খুব তাড়াতাড়ি আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।’’
কী ভাবে আগুন লেগেছিল, তা জানা যায়নি। রাত পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসেবও মেলেনি। এক রক্ষী জানান, আগুন লেগে যাওয়ায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ন’টি গাড়ি র্যাম্পে রাখা ছিল। তাই সেগুলি নীচে নামানো যায়নি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও সোনারপুর (উত্তর)-এর বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম বিকেলে ঘটনাস্থলে যান। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়ি মেরামতের কারখানা রয়েছে। কিন্তু রাস্তা চওড়া নয় বলে মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানান বাসিন্দারা। রাস্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিন জনপ্রতিনিধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy