ফাইল চিত্র।
আগুনের উৎসে পৌঁছতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে দমকল কর্মীদের যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হল, তাতে শিয়ালদহ স্টেশনের অগ্নি-সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ যে স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন সেখানে আগুন নেভাতে গিয়ে এ দিন হাইড্র্যান্টে জল পাননি দমকল কর্মীরা।
ছাদে উঠে বিকল্প পথে আগুনের কাছে পৌঁছতে গিয়ে গ্রিলের তালা ভেঙে দমকল কর্মীরা আবিষ্কার করেন ইট-সিমেন্টের দেওয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে ছাদে যাওয়ার পথ। অন্য একটি পথের কাঠের দরজাও তক্তা মেরে বন্ধ করা ছিল বলে অভিযোগ।
আগুন লাগার জায়গায় কী মজুত রয়েছে বা আগুনের চরিত্র কী— তা কার্যত না জেনেই আগুন নেভাতে হয়েছে বলে দমকল কর্মীদের অভিযোগ। দমকলের সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ স্টেশনের অফিসার ইন চার্জ দীপককুমার ঘোষ বলেন, “ওই জায়গায় হাইটেনশন লাইনের ডিস্ট্রিবিউশন বক্স ছিল। প্রচুর নথি ছাড়াও সংকীর্ণ ঘরে ব্যাটারি মজুত ছিল।” অল্প সময়ের মধ্যে আগুন আয়ত্তে আনা সম্ভব হলেও দুই এবং তিন তলার অনকগুলি ঘর প্লাইউডের পার্টিশন বোর্ড দিয়ে তৈরি। তার মধ্যে অনেক ঘর গার্ড এবং মোটরম্যানদের বিশ্রামকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে প়ড়ার আশঙ্কা ছিল।
দুপুর তিনটে নাগাদ দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ধোঁয়া বের করতে তিন তলার সিঁড়ি লাগোয়া কাচের জানালাগুলি ভেঙে ফেলেন দমকল কর্মীরা। ওই অংশের নীচেই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাত্রীদের যাতায়াতের পথ। আগুনে স্টেশনের শেডের ক্ষতি না-হলেও বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলায় রেলের নিজস্ব প্রস্তুতির বড়সড় ফাঁকফোকর চোখে পড়েছে।
কিন্তু ছাদে যাওয়ার পথগুলি এ ভাবে বন্ধ কেন? রেল আধিকারিকদের দাবি, অসামাজিক কাজ এবং চুরি আটকাতেই ছাদে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। স্টেশনে অগ্নি নির্বাপণের বেহাল অবস্থার কথা মানতে চাননি পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র। তিনি বলেন, “গার্ড রুমের লবিতে আগুন লেগেছিল। গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়েছে বলে শুনিনি। আগুন কেন লাগল তা খতিয়ে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy