বিজেপিকে দোষারোপ ফিরহাদ হাকিমের।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন অংশ জুড়ে। ট্রেন অবরোধের পাশাপাশি রেলের সম্পত্তিতে আগুন-ভাঙচুর, রাস্তা আটকানো, বাস পোড়ানোর মতো ঘটনা শুক্রবার দুপুরের পর থেকে ঘটেই চলেছে। সেই বিক্ষোভের দায় এ বার বিজেপির ঘাড়েই চাপাল তৃণমূল। দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন, বিজেপির টাকাতেই এই বিক্ষোভ চলছে। যদিও গোটা ঘটনার দায় রাজ্য প্রশাসন তথা তৃণমূলের উপরেই চাপিয়েছে বিজেপি।
রাজ্যের বিভিন্ন অংশ জুড়ে গত দু’দিন ধরে চলা এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে শনিবারই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবহেই এ দিন মুখ খুলেছেন মন্ত্রী ফিরহাদও। তিনি জানিয়েছেন, কিছু মানুষ পরিকল্পনা করে এটা করাচ্ছেন। আর কেউ কেউ সেই হুজুগে মেতে উঠে বিজেপির হাত শক্ত করছেন। জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের রাজনৈতিক ভাবে প্রতিবাদ জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ফিরহাদের কথায়, ‘‘অরাজকতা করে বাংলায় বিজেপির হাত শক্ত করবেন না। পথ অবরোধ করে, বাস জ্বালিয়ে বাংলার মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। বিজেপির টাকায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। কিছু মানুষ প্ল্যান করে এটাকে করাচ্ছে। আর আপনারা অরাজকতা করে বাংলায় বিজেপির হাত শক্ত করছেন।’’
আরও পড়ুন: আইন নিজের হাতে নিলে কড়া পদক্ষেপ, হুঁশিয়ারি মমতার
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ যদিও ফিরহাদের এই দাবি মানতে নারাজ। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘গত দু’দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। বাস পুড়ছে। ট্রেন আটকানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে। অথচ পুলিশ কোথাও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ এর পর নাম না করে দিলীপ বলেন, ‘‘আসলে উনি চাইছেন না। কারণ, নিজের ভোটব্যাঙ্কটা সুনিশ্চিত রাখতে চান।’’
আরও পড়ুন: কোন কোন ট্রেন বাতিল হল জেনে নিন
ফিরহাদ যদিও মনে করছেন, এই বিক্ষোভের ফলে আখেরে এ রাজ্যে বিজেপিরই লাভ। বিক্ষোভকারীদের সে কথা মনেও করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কেন বাংলার মানুষকে আটকে রেখে দেব রাস্তায়? কেন বাংলার মানুষের বাস অবরোধ করব? কেন ট্রেন অবরোধ করব? সেই মানুষগুলো তো অমিত শাহের পক্ষের হয়ে যাবেন। আর যদি ৭০ শতাংশ মানুষ অমিত শাহের পক্ষে হয়ে যান, তা হলে এখানে যখন বিজেপি আসবে, তখন উত্তরপ্রদেশের মতো মাথা নিচু করে থাকতে হবে। তখন আর রাস্তায় কেউ নামবেন না।’’
ফিরহাদ এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে, সামাজিক ভাবে প্রতিবাদ করার কথাও এ দিন বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ক্রিমিনাল নই যে, রাস্তা অবরোধ করব। বাস জ্বালাব। অরাজকতা করব। যাঁরা করছেন, তাঁরা সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবুন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনে সবাই মিলে শামিল হন। এটা বাংলার পথ না। বাংলার মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। বাংলার ক্ষতি হচ্ছে। এবং দিল্লির অমিত শাহ তাতে হাসছেন, তাঁদের সুবিধা করার জন্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy