Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Firhad Hakim

গরুপাচারে বাম আমলের ভূমিকাও তদন্ত করে দেখা হোক, ফিরহাদের তির কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও মন্তব্য, ‘‘নিজেদের দল বিপাকে পড়েছে বলে ২০-৩০ বছর দেখিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন মন্ত্রী।’’

Firhad Hakim.

রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শমসেরগঞ্জ ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ ০৬:২৪
Share: Save:

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইডি-র পেশ করা চার্জশিটের সূত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ও পূর্বতন বাম আমলের ভূমিকাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি তুললেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই সঙ্গেই চাপানউতোর বাধল গরু পাচারে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে এসেছিলেন ফিরহাদ। সেখানেই শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনেছি, ২০-৩০ বছর আগে থেকে গরু পাচার হচ্ছে। তখন বামফ্রন্টের সরকার ছিল রাজ্যে। গরু এসেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি থেকে। সীমান্তে বিএসএফের পাহারা থাকে। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায়। তাই ২০১১ সালের আগের পাচারের ঘটনাকেও তদন্তের আওতায় আনা উচিত।’’ যার জবাবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘শুধু বামফ্রন্ট কেন? তার আগে কংগ্রেস জমানা, এমনকি ব্রিটিশ আমলের কথাও বলতে পারতেন! তৃণমূলের সরকার আছে, ১২ বছর হল। অভিযোগ থাকলে তদন্ত করাননি কেন? আইন-আদালত সবই খোলা ছিল, সেখানে যাননি কেন?’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও মন্তব্য, ‘‘নিজেদের দল বিপাকে পড়েছে বলে ২০-৩০ বছর দেখিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন মন্ত্রী।’’

পাচার-কাণ্ডের সঙ্গে বিএসএফের যোগ প্রসঙ্গে ফিরহাদ এ দিন বলেছেন, “যদি হয়ে থাকে গরু পাচার, তবে তা কী ভাবে হয়েছে, আমি জানি না। কেন্দ্রীয় সংস্থা বলছে, বিএসএফের মদত ছিল। তাই কারা কারা, কবে থেকে গরু পাচারে মদত দিয়েছে তার তদন্ত হওয়া উচিত। টিভিতে দেখলাম এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকেই পাচারে মদতদার হিসেবে।’’ এই প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘বিএসএফের কেউ যুক্ত থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। কিন্তু বিএসএফ তো আর অনুব্রতকে চিঠি দিয়ে বলেনি আসুন গরু পাচার করে যান! আর গরু পাচারের টেন্ডারও বিএসএফ করেনি।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও মত, ‘‘বিএসএফ জড়িত থাকতেই পারে। ইডি-সিবিআইয়েরও কেউ কেউ জড়িয়ে থাকতে পারে। আগেও তো বিএসএফকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কেউ লোভে, কেউ ভয়ে অপরাধ করে। যে-ই দোষ করে থাকুক, তাকে গ্রেফতার করা উচিত। বোঝাই যাচ্ছে, প্রত্যেকটি দফতরের চোর আছে। না হলে এত দিন ধরে পাচার চলত না। তদন্ত যখন হচ্ছে, সবটাই খতিয়ে দেখা উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE