মারধর করার পরে বাড়ি থেকে বছর কুড়ির এক যুবককে অপহরণের অভিযোগে এক দম্পতি-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত যুবককেও। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার জোকায়। আটক করা হয়েছে অপহরণে ব্যবহৃত একটি অটো।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিশ্বজিৎ সিংহ, গৌতম প্রধান, পায়েল প্রধান, ভবানী সিংহ এবং মিলন হাতি। প্রথম চার জনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। মিলনের বাড়ি কলকাতায়। সে পেশায় অটোচালক। গৌতম এবং পায়েল স্বামী-স্ত্রী। শুক্রবার ধৃতদের আলিপুর আদালত ৪ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জেনেছে, অপহরণকারীদের কেউ কেউ অপহৃতের পরিবারের কাছ থেকে টাকা পেত। তার জন্য এই ঘটনা কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত যুবকের নাম সৌমেন প্রধান। তিনি জোকা এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ অভিযুক্তেরা একটি অটোয় চেপে সৌমেনের বাড়িতে আসে। সেই সময়ে ওই যুবক একাই ছিলেন। অভিযুক্তেরা প্রথমে সৌমেনের মা-বাবার খোঁজ করে। তাঁরা বাড়িতে নেই জানার পরে পাঁচ জন সৌমেনের উপরে চড়াও হয়। তাঁকে মারধর করার পরে টেনেহিঁচড়ে অটোয় তোলা হয়।
এর পরে সৌমেনের মুক্তিপণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে তাঁর মা-বাবাকে ফোন করে অপহরণকারীরা। টাকা না পেলে ওই যুবককে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পুলিশ দুপুরে ওই খবর জানতে পারে। এরই মধ্যে সৌমেনের পরিবারের তরফে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তার পরেই ঠাকুরপুকুর থানার ওসি রাজেশকুমার সিংহের নেতৃত্বে দুই অফিসার, মলয় গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে বিশেষ দল গড়া হয়। অপহরণকারীদের সঙ্গে দর কষাকষি করে ঠিক করা হয়, ছ’লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তা নিয়ে কথা চালাচালির মধ্যেই পুলিশ জানতে পারে, অপহৃত যুবক রয়েছেন হরিদেবপুরে। এর পরেই সেখানে হানা দেয় পুলিশের বিশেষ দল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)