Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Smuggling

মালয়েশিয়া পাচারের পথে উদ্ধার কচ্ছপ, জাতীয় সড়কে গাড়ি তাড়া করে ধরলেন গোয়েন্দারা

কেন্দ্রীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এবং অপরাধ দমন বিভাগের এক কর্তা বলেন, “আমাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, একটি সেডান গাড়ি উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় এই সংরক্ষিত প্রজাতির কচ্ছপ নিয়ে আসছে।”

পাচারের পথে ধরা পড়া সেই কচ্ছপ। নিজস্ব চিত্র।

পাচারের পথে ধরা পড়া সেই কচ্ছপ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:০৮
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশ থেকে গাড়ি করে কলকাতায় পাচারের পথে ধরা পড়ল দু’বস্তা ভর্তি কয়েকশো কচ্ছপ। সোমবার ভোর রাতে বর্ধমানের বড়শোল থেকে গাড়ি ভর্তি ওই কচ্ছপ উদ্ধার করেন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ দফতর এবং রাজ্য বন দফতরের যৌথ দল।

কেন্দ্রীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এবং অপরাধ দমন বিভাগের এক কর্তা বলেন, “আমাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, একটি সেডান গাড়ি উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় এই সংরক্ষিত প্রজাতির কচ্ছপ নিয়ে আসছে।”

ওই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সোমবার ভোর রাতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি দিল্লির নম্বর প্লেটের সেডান গাড়ি পাকড়াও করেন বন দফতরের কর্তারা। তাঁরা ওই গাড়ির পিছন থেকে উদ্ধার করেন দু’টি বস্তা। সেই বস্তাতেই মেলে সংরক্ষিত প্রজাতির কয়েকশো কচ্ছপ। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক এবং অন্য এক আরোহীকে। ওই গাড়ি পাকড়াও করতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার গাড়িটিকে ধাওয়া করেন গোয়েন্দারা। কারণ, বিপদ আঁচ করে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করছিল।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে ওই কচ্ছপগুলিকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। দিল্লি থেকে একটি পুরনো সেডান গাড়ি কেনে পাচারকারীরা। কলকাতার কাছে চক্রের অন্য এক জনের কাছে সেই গাড়িশুদ্ধ ‘মাল’ তুলে দেওয়ার কথা ছিল।

বর্ধমানের বড়শোলে গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এই কচ্ছপগুলো।

আরও পড়ুন: মিছিলে প্রৌঢ়, হাতে ৩৪ বছরের পুরনো পতাকা

কেন্দ্রীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এবং অপরাধ দমন বিভাগের এক কর্তা বলেন, কচ্ছপের মতো বন্যপ্রাণ পাচারে কলকাতা ক্রমাগত মূল করিডরে পরিণত হয়েছে। ওই ভারতীয় কচ্ছপের দক্ষিণ পূর্ব ভারতের বাজারে খুব কদর। চিন থেকে শুরু করে সিঙ্গাপুর এমনকি ভিয়েতনামেও পাচার হয় ওই কচ্ছপ। তবে সরাসরি যায় না। কলকাতা থেকে সোজা চলে যায় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বন্দরে।

আরও পড়ুন: পুলিশ-প্রশাসন নাজেহাল, দুষ্কৃতীকে ধরিয়ে দিল ঘোড়া

ওয়াল্ড লাইফ জাস্টিস কমিশন, নেদারল্যান্ডের দ্য হেগের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার বাজারে কচ্ছপের মতো নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণ পাচারে মালয়েশিয়া পাচারকারীদের সেরা পছন্দ। কারণ ওই দেশের বিভিন্ন বন্দরে নজরদারি কম। সেখান থেকে ওই নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণ পৌঁছে যায় চিন বা সিঙ্গাপুরে। কলকাতাকে মূল ‘ট্রানজিট করিডর’ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা। এখান থেকে কখনও সরাসরি পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়াতে, কখনও আবার বাংলাদেশের কোনও নদী বন্দর ব্যবহার করা হচ্ছে।

(দুই বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, 'বাংলার' খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Smuggling Turtle Burdwan Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE