লুঠের পর। খবর পেয়ে ওই স্বর্ণঋণ সংস্থায় ভিড় করেছেন গ্রাহকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল ডানলপের একটি বেসরকারি স্বর্ণঋণ প্রদানকারী সংস্থায়। ফিল্মি কায়দায় ওই সংস্থা থেকে প্রায় ৩০ কেজি সোনা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। আর গোটা অপারেশনটি শেষ করতে সময় নেয় মাত্র ১৫ মিনিট। ব্যস্তবহুল, দোকানপাটে ভরা ডানলপ মোড়ের ওই সংস্থা থেকে এত বড় ডাকাতি হয়ে গেল, অথচ কাকপক্ষীতেও টের পেল না!
ঠিক কী হয়েছিল?
সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট। প্রতি দিনের মতোই শুক্রবার সংস্থাটি খোলার জন্য এসেছিলেন ম্যানেজার মনোজকুমার স্বর্ণকার। তাঁর সঙ্গে সংস্থার কয়েক জন কর্মীও ছিলেন। সংস্থাটি যখন খোলা হয়, সেই সময়ই তাঁদের পিছন পিছন হেলমেট পরা চার যুবক হাজির হয়। গ্রাহক ভেবেই তাদেরকে হেলমেট খুলে ভিতরে ঢুকতে বলেন ম্যানেজার। তখনই তাদের মধ্যে থেকে এক দুষ্কৃতী বন্দুক বের করে ম্যানেজারের পেটে ঠেকিয়ে ভল্টের চাবি চায়। এর পর আরও একজন ম্যানেজারের কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়। ম্যানেজারের কাছ থেকে চাবি পেয়ে ভল্ট খুলে প্রায় ৩০ কেজি সোনা লুঠ করে নেয় তারা। যার বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। লুঠের পর স্বাভাবিক ভাবেই সংস্থা থেকে বেরিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন: চার ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার তাপস পাল
ডাকাতদল চম্পট দেওয়ার পর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট নাগাদ বরাহনগর থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান সংস্থার ম্যানেজার। পুলিশ ইতিমধ্যেই সংস্থার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ভদ্রেশ্বর, কামারহাটি এবং কাশীপুর এলাকায় ডাকাতির সঙ্গে যুক্তদের ছবির সঙ্গে ওই ফুটেজ মিলিয়ে দেখছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই সময়ে সংস্থার আশেপাশে থাকা দোকানগুলিতেও। কারণ, মাথায় হেলমেট থাকলেও দুষ্কৃতীরা আদৌ বাইক নিয়ে এসেছিল কি না তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy