—প্রতীকী চিত্র।
বনগাঁর মহিলা মহকুমাশাসক (এসডিও) সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল দুই তৃণমূল নেতা-সহ চার জনের বিরুদ্ধে। সমাজমাধ্যমে এই সংক্রান্ত একটি অডিয়ো ক্লিপ (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ঘিরে শোরগোল পড়েছে। শহরবাসীর একাংশের দাবি, মদের আসরে ওই অডিয়োয় বনগাঁ পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপ মজুমদার এবং ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য দীপক ঘোষ-সহ চার জনের গলা শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে শহরের কিছু বাসিন্দা ওই চার জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার মহকুমাশাসকের দফতরে এবং বনগাঁ পুরসভায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগ মানেননি দুই নেতাই।
অভিযোগপত্রে মহকুমাশাসক সম্পর্কে অশ্লীল ভাষা ব্যবহারে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। সমাজমাধ্যম থেকে অডিয়োটি তুলে নেওয়ারও আর্জি জানানো হয়েছে। অডিয়োয় বিএসএফ সম্পর্কেও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়।
বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মহকুমাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অভিযোগ অস্বীকার করে দিলীপ বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘ওটা আমার গলা নয়। কৃত্রিম ভাবে আমার গলায় ওই কথাবার্তা বসানো হয়েছে। কারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে তা আমি জানি। দলীয় নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দোষীকে খুঁজে বার করুক।’’ ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েতের সদস্য দীপকেরও দাবি, ‘‘অডিয়োয় যেটা শোনা যাচ্ছে, সেটা আমার গলা নয়।’’
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, ‘‘এটা বিজেপির চক্রান্ত। আমাদের দলের কেউ চক্রান্তে যুক্ত আছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাছে মহিলাদের কোনও সম্মান নেই, কোনও নিরাপত্তাও নেই। সরকারি আধিকারিকদেরও এরা ছাড়ে না। আর জি করের ঘটনার পর বনগাঁর মহিলা মহকুমাশাসক সম্পর্কে মন্তব্য সে কথাই প্রমাণ করল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy