ফাইল চিত্র।
অতিমারির আগে ফি বছরে প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়া এ দেশ থেকে ফ্রান্স পাড়ি দিতেন। অতিমারির কঠিন পরিস্থিতিতেও এর ৩০ শতাংশের কিছু বেশি ধরে রাখা গিয়েছে বলে জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত ইমানুয়েল লেন্যাঁ। সোমবার সদ্য শান্তিনিকেতনে সফর সেরে এসে আলাপচারিতায় বলছিলেন তিনি।
ফরাসি রাষ্ট্রদূতের কথায়, “আমাদের এখনও লক্ষ্য, ২০২৫-এর মধ্যে ফি-বছরে ফ্রান্সগামী ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা ২০ হাজারে নিয়ে যেতে। ফ্রান্সে শিক্ষার মান আমেরিকা, ইংল্যান্ডের সমান। কিন্তু ঢের সস্তা। ফরাসি করদাতাদের টাকাতেই বরাবর শিক্ষার ভার বহন করে প্যারিস।” তাঁর ব্যাখ্যা, “খরচের বোঝা না-বাড়িয়ে সারা দুনিয়ার পড়ুয়াদের ফ্রান্সে আহ্বানের মধ্যে মানবতা, আন্তর্জাতিক কূটনীতি বা রাষ্ট্রীয় কোমল শক্তির একটা পরিচয় রয়েছে। এটাই বরাবরের ফরাসি নীতি।” আগে চার বার কলকাতায় এলেও এই প্রথম শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন ইমানুয়েল। তিনি জানান, বিশ্বভারতীর আধুনিক ইউরোপীয় ভাষা-সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সঙ্গে কলকাতার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত হবে। ১০০ বছর আগে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং সে যুগের বিশিষ্ট প্রাচ্যবিদ সিলভ্যাঁ লেভিকে শান্তিনিকেতনে শিক্ষক হিসেবে নিয়ে আসেন। সিলভ্যাঁ লেভি বিশ্বভারতীর উদ্বোধনেও ছিলেন।
কোভিড পরিস্থিতিতেও ফ্রান্সের ভিসা দু’দিনের মধ্যে মিলছে, দাবি রাষ্ট্রদূতের। ফ্রান্সে বুস্টার ডোজ়ও সুলভ বলে রাষ্ট্রদূত বলেন, “এটা সব দিক দিয়েই ফ্রান্স সফরের সুসময়।”
ফ্রান্স ও বাংলার সংস্কৃতির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু চন্দননগরের রেজিস্ট্রি বিল্ডিং সংস্কার ও পুনরুজ্জীবনের কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে ইমানুয়েল জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গেও কলকাতার ফরাসি কনসুলেটের এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। ইমানুয়েল বলেন, “পুরনো বাড়িটির স্থাপত্য অক্ষুণ্ণ থাকবে। কিন্তু দু’বছরেই বাড়িটিতে কাফে, সংগ্রহালয়-সহ লাগোয়া তল্লাটে ফরাসি স্থাপত্যের বুটিক হোটেল গড়ে উঠবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy