Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপির ‘ভূতে’ ভোট কমেছে: অধীর

শুক্রবার দিনভর অধীর চৌধুরীকে অভিনন্দন জানাতে ফুলের মালা নিয়ে ছুটে এসেছেন অনেকেই। হাসি মুখে গ্রহণও করছেন সেই ফুল ও মালা। কিন্তু অধীরের চোখে-মুখে সেই উচ্ছ্বাস নেই!

বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে অধীর চৌধুরীকে প্রণাম কান্দির কংগ্রেস বিধায়কের।  নিজস্ব চিত্র

বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে অধীর চৌধুরীকে প্রণাম কান্দির কংগ্রেস বিধায়কের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৯ ০১:৩০
Share: Save:

জয় এসেছে। কিন্তু কোথাও চাপা দুঃখ রয়ে গিয়েছে মনের কোণে। তাই বিজয় উল্লাসে মন নেই। ভোটারদের একটি অংশ ‘ভুল’ বুঝেছে বলে যাবতীয় দুঃখ-যন্ত্রণা তাঁর।

শুক্রবার দিনভর অধীর চৌধুরীকে অভিনন্দন জানাতে ফুলের মালা নিয়ে ছুটে এসেছেন অনেকেই। হাসি মুখে গ্রহণও করছেন সেই ফুল ও মালা। কিন্তু অধীরের চোখে-মুখে সেই উচ্ছ্বাস নেই! কিন্তু কেন? ঘনিষ্ঠ মহলে অধীর বলেন, ‘‘বিরোধীদের মিথ্যা প্রচারে আমাকে সাম্প্রয়াদিক হিসাবে ভুল বুঝল মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষদের একাংশ! এটা আমাকে দুঃখ দিয়েছে।’’

২০১৪ সালে অধীর চৌধুরী প্রায় ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। সেখানে এ বারের ব্যবধান মাত্র ৮০ হাজার। কারণ হিসাবে অধীর চৌধুরী বলছেন, ‘‘বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ২৬৮টি বুথে এজেন্ট দিতে না পারায় প্রায় পৌনে তিন লক্ষ ছাপ্পা ভোট পড়েছে।’’ এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার করে তাঁর বিরুদ্ধে একটি সম্প্রদায়ের মন বিষিয়ে দেওয়ার ফলেই জয়ের ব্যবধান কমেছে বলেও অধীর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাঙালিদের বাংলাদেশি বলে নয়ডা থেকে এক সময় তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তার প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। সেটাকেই সাম্প্রদায়িক রং চাপিয়ে প্রচার করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আমার বিরুদ্ধে বিষিয়ে তোলা হয়। বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে বিজেপি ভূত দেখায় জেলার মানুষকে।’’

যদিও অধীর উদ্যোগ নিয়ে এক সময়ে বহরমপুরের পুরপ্রধান করেন আকবর কবীরকে, জেলাপরিষদের সভাধিপতি করেন সিদ্দিকা বেগমকে। এ ছাড়া প্রাক্তন মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে আহিরণে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাম্পাস এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা কান্দির মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করানোর পিছনে অধীরের অবদান রয়েছে।

ওই ঘনিষ্ঠদের কাছে অধীরের আক্ষেপ, ‘‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলার উন্নয়নের জন্য ২০ বছর ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করা সত্ত্বেও মিথ্যা অপ্রচার করে একটি সম্প্রদায়ের ভোটারদের মনে আমাকে সাম্প্রদায়িক হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে সেই ভূতে বিশ্বাসও করেছেন। এতে আমি সবচেয়ে বেশি দুঃখ পেয়েছি। যন্ত্রণায় মন ভারাক্রান্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE