Advertisement
E-Paper

প্রাক্তন শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে লুটের ঘটনায় এখনও অধরা দুস্কৃতীরা

দুষ্কৃতী হানার কথা প্রকাশ্যে এলে আহত বৃদ্ধাকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবারেও তাঁর আতঙ্কের রেশ কাটেনি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০২:০৯

—প্রতীকী চিত্র।

প্রাক্তন শিক্ষিকার বাড়িতে ঢুকে গয়না লু়ট করার ঘটনার এক দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। এখনও আতঙ্ক কাটেনি রিষড়া বিদ্যাপীঠ গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা ও মানকুন্ডু আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা বনানী ভট্টাচার্যের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাড়িতে একাই ছিলেন বৃদ্ধা। পরিচারিকা সুলেখা গাইন কাজের জন্য অন্য বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। সেই সময় দু’জন দুস্কৃতী বাড়িতে ঢুকে শিক্ষিকার মুখ চেপে ধরে মুখে সেলোটেপ আটকে দেয়। মারধরও করে। তবে গলা টিপে মারতে গেলে শিক্ষিকা অনুরোধ করেন, প্রাণে না মেরে সব কিছু নিয়ে নেওয়ার জন্য। তাতেই মেলে রেহাই। বৃদ্ধার অভিযোগ, চুড়ি ও হার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পরে দুষ্কৃতী হানার কথা প্রকাশ্যে এলে আহত বৃদ্ধাকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবারেও তাঁর আতঙ্কের রেশ কাটেনি। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত। গলা টিপে ধরেছিল। ওদের মুখ ঢাকা ছিল, চিনতে পারিনি। তা জানিয়ে ওদের বললাম, পুলিশ এলে বলব কী করে তোমাদের তো চিনি না । তা শুনে আমাকে ছেড়ে দিল।’’

পাশের বাড়িতেই ভাড়া থাকেন শিক্ষিকার বোন জলি চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিন দিদিকে দেখতে এলেও সোমবার আসেননি। তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ সালে জামাইবাবু মারা যাওয়ার পর থেকে পরিচারিকা তাঁর পরিবার নিয়ে দিদির বাড়িতেই থাকেন। তিনি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই লুটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে আসি।’’

পরিচারিকা বলেন, ‘‘আমার যখন দশ বছর যখন বয়স তখন থেকেই মামির কাছে আছি। তার পর আমার বিয়ে হয়। আগে অন্য জায়গায় ভাড়ায় থাকতাম। কয়েক বছর ধরে মামির বাড়িতেই থাকি। পাশের বাড়িতে কাজে গিয়েছিলাম তখনই এই ঘটনা ঘটে। আগে কোনও দিনও এমন হয়নি। মামির বোন আসবে বলে সোমবার দরজা খোলা ছিল। চিৎকার শুনে আমি পাশের বাড়ি থেকে এসে ওই অবস্থায় মামীকে পড়ে থাকতে দেখি। বাড়ির অন্য কোনও জিনিসে হাত দেয়নি কেউ। শুধু গয়না নিয়ে গিয়েছে।’’

প্রতিবেশী মেরি রায় বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি সেলোটেপ দিয়ে দিদির মুখ বাঁধা। মুখ দিয়ে রক্ত বার হচ্ছে।’’ তিনি জানান, এই ঘটনার পর থেকে সবাই আতঙ্কে আছেন।

এই প্রসঙ্গে চন্দননগর থানা থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগে বিদ্যালঙ্কার অঞ্চলে চুরির ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Chandannagar police investigation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy