Advertisement
E-Paper

লক্ষ্য এ বার পুরসভা, কর্মীদের বলছেন দিলীপ

বিজেপির অন্দরে এখন চর্চা হচ্ছে— তৃণমূলের যে বিধায়করা যোগাযোগ রাখছেন বলে নেতৃত্ব বার বার জানাচ্ছেন, তাঁরা কবে দল বদলাবেন? বিধানসভা ভোট কি নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়ে যাবে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৯ ০৪:০১
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচন এখন অতীত। এ বার পাখির চোখ পুরসভা দখল। নতুন লক্ষ্য স্থির করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘যাঁরা কাজ করবেন, তাঁরাই দলে থাকবেন। আর কাজের প্রমাণ হল জয়।’’ বস্তুত, বিজেপির অন্দরের খবর, লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে এবং দেশে গেরুয়া ঝড়ের পর ভাটপাড়া, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, বারাসত, হাবড়া, অশোকনগর এবং বিধাননগর তাদের দখলে আসতে পারে বলে আশাবাদী দলীয় নেতৃত্ব। তাঁদের আরও আশা, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলা পরিষদও ‘গেরুয়া’ হয়ে যেতে পারে।

তবে বিজেপির অন্দরে এখন চর্চা হচ্ছে— তৃণমূলের যে বিধায়করা যোগাযোগ রাখছেন বলে নেতৃত্ব বার বার জানাচ্ছেন, তাঁরা কবে দল বদলাবেন? বিধানসভা ভোট কি নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়ে যাবে? বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায় বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে ১৪৩ জন তৃণমূল বিধায়কের যোগাযোগ আছে। তৃণমূলের বুথ সভাপতি থেকে শুরু করে সাংসদ পর্যন্ত অনেকেই যোগাযোগ করছেন। ডুবন্ত নৌকোয় কে আর থাকতে চায়? তবে কে কবে আসবেন, তা বলার সময় আসেনি।’’ আর বিধানসভা ভোট এগনো নিয়ে মুকুলবাবুর মন্তব্য, ‘‘বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব চান, গণতান্ত্রিক ভাবে ভোট হোক। তাঁরা ভোট জোর করে এগোতে চান না। সাধারণ মানুষ ঠিক করবেন, বিধানসভা ভোট কবে হবে।’’

শুক্রবার দুপুর থেকেই কলকাতায় দলের সদর দফতরে ছিলেন রাজ্য সভাপতি। মেদিনীপুরের বিজয়ী প্রার্থী গত দেড় মাস প্রচারের জন্য দফতরে কার্যত আসতে পারেননি। স্বভাবতই এ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কর্মীদের ঢল নেমেছিল রাজ্য দফতরে। কেউ এনেছিলেন ফুল, কেউ মিষ্টি, কেউ মালা। কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে তা গ্রহণ করার আগে দিলীপবাবু জানতে চাইছিলেন, কোন এলাকা থেকে তাঁরা এসেছেন। কেউ জানালেন কলকাতা, কেউ হাওড়া, কেউ বা দমদম। বাড়ানো হাত ফিরিয়ে নিয়ে দিলীপবাবুর পাল্টা, ‘‘নিজের অঞ্চলে দলকে জেতাতে পারলেন না, এখন এসেছেন আবির খেলতে, মিষ্টি খেতে? কাজ করুন। পুরসভা জিতিয়ে দেখান।’’

নিয়মমাফিক কলকাতা পুরসভার ভোট হওয়ার কথা আগামী বছরে। আর হাওড়া পুরসভার ভোটের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘১৮ জন সাংসদ দিয়ে উত্তরবঙ্গ প্রায় দখল করে ফেলা গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে জঙ্গলমহল হাতে চলে এসেছে। কলকাতা-হাওড়াকেও ঘিরে ফেলা গিয়েছে হুগলি, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বনগাঁ, রানাঘাট, বিষ্ণুপুরের মতো অঞ্চল দিয়ে। কিন্তু এতো মোদী হাওয়াতেও শহরে দাঁত ফোটানো যায়নি। এ বার প্রথম লক্ষ্য শহরে ঢোকা।’’

বিজেপির শাসক গোষ্ঠীর একাংশের অবশ্য অভিযোগ, কলকাতা উত্তর, দমদম এবং হাওড়ায় প্রার্থীদের ব্যর্থতার জন্যই জয় মেলেনি। এই হাওয়ায় যেখানে আরামবাগের মতো কার্যত সংগঠনহীন এলাকায় দলীয় প্রার্থী টানটান লড়াই করেছেন, সেখানে এই আসনগুলি তুলনামূলক ভাবে সহজ ছিল। যদিও স্বাভাবিক ভাবেই ওই প্রার্থীরা এই অভিযোগ মানতে চাননি। উত্তর কলকাতার প্রার্থী রাহুল সিংহের বক্তব্য, ‘‘মানুষ ভোট দিতে পারেননি। ভোট পড়েছে মাত্র ৬৭ %। সে কারণেই জিততে পারিনি।’’

দিলীপবাবু অবশ্য এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে বলেছেন, ‘‘যাঁরা কাজ করেন, তাঁরাই থাকেন। জিততে হবেই।’’

আজ, শনিবার দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের ১৮ জন সাংসদকে ডেকেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এ দিন রাতেই দিল্লি রওনা হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। দিলীপবাবু-সহ অধিকাংশই অবশ্য সকালের বিমান ধরবেন।

Dilip Ghosh BJP Election Results 2019 Lok Sabha Election 2019 লোকসভা ভোট ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy