(বাঁ দিকে) ব্রাত্য বসু। ফাইল চিত্র। (ডান দিকে) শনিবার ধর্নামঞ্চে কুণাল ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
শনিবারই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল, সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এসএলএসটি (নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির) চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার জানা গেল, সেই বৈঠকে সশরীরে হাজির থাকবেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। তবে পরিচয় বদলে যাবে তাঁর। ভিন্ন পরিচয়ে সোমবার বিকাশ ভবনে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা দফতরের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কুণাল।
কুণাল কেন বৈঠকে থাকবেন? তিনি তো সরকারি কোনও পদে নেই। আবার তিনি চাকরিপ্রার্থীও নন। তা হলে? কুণাল বলছেন, ‘‘চাকরিপ্রার্থীরা আমায় অনুরোধ করেছেন। আমি ওঁদের তরফে যাব।’’ এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ অভিষেক সেন বললেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম কুণালদা আমাদের হয়ে বৈঠকে থাকুন। তিনি তাতে রাজি হয়েছেন।’’
শনিবার ছিল মেয়ো রোডে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার হাজারতম দিন। সেই মঞ্চে প্রতিবাদ প্রদর্শন করতে পূর্ব মেদিনীপুর ভোগপুরের বাসিন্দা তথা মহিলা চাকরিপ্রার্থী রাসমণি পাত্র মাথার চুল কামিয়ে ফেলেছিলেন। বিকেলে ওই মঞ্চে ছুটে গিয়েছিলেন কুণাল। তার পর কথা বলেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে।
তৃণমূলের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ রাখেন কুণাল। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে শনিবারের ধর্নামঞ্চ সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি পরিবৃত হয়েই ছিল। হঠাৎই কুণাল পৌঁছে যান সেখানে। প্রথম দিকে কিছুটা বাধার মুখে পড়লেও পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। রাসমণির সঙ্গে কথা বলেন আলাদা ভাবে। চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনের অন্যতম মুখ অভিষেক বলেন, ‘‘এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের বৈঠক করানোর ক্ষেত্রে কুণাল ঘোষই ছিলেন মূল কান্ডারি। শনিবার তিনি মঞ্চে এসেছিলেন। সোমবারের বৈঠকেও আমরা তাঁকে ডেকেছি।’’
শনিবারের ঘটনা নিয়ে রবিবার কুণাল এক্স পোস্টে লেখেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ চান। অভিষেক নিয়োগ চান। তিনি তো এঁদের সঙ্গে বসেছিলেন। প্রক্রিয়া এগিয়েছিল। ব্রাত্য নিয়োগ চান। কারুর বা কিছু লোকের জন্য জটিলতা হয়েছে। এই জটিলতা কাটাতে সর্বশক্তিতে চেষ্টা চলছে। সরকার আন্তরিক। আইনি জট কাটাতে কী করা যায়, ভাবছেন তাঁরা, দেখা যাক। আমি এবং আমরা সবাই চাই, জট খুলুক। আইনি সমস্যা কাটুক। নিয়োগ হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy