Advertisement
E-Paper

ঋতব্রতের বিরুদ্ধে যুবতীর অভিযোগ বিদেশেও

এ বার সরাসরি নেদারল্যান্ডস পুলিশের কাছে ওই সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করলেন সেই যুবতী।

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:২৩
ঋতব্রতর বিরুদ্ধে এবার নেদারল্যান্ড পুলিশেও অভিযোগ দায়ের।

ঋতব্রতর বিরুদ্ধে এবার নেদারল্যান্ড পুলিশেও অভিযোগ দায়ের।

বালুরঘাটের এক যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লি পুলিশ রাজ্যসভার সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আগেই ধর্ষণের মামলা করেছিল। এ বার সরাসরি নেদারল্যান্ডস পুলিশের কাছে ওই সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করলেন সেই যুবতী।

দিল্লি ও বালুরঘাট পুলিশের কাছে ওই যুবতীর অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাংসদ ঋতব্রত তাঁকে বারবার ধর্ষণ করেছেন। কার্যত এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঋতব্রতকে দল থেকে বহিষ্কার করে সিপিএম। তিনি এখনও রাজ্যসভার সদস্য, তবে এই মুহূর্তে কোনও দলেরই সদস্য নন। তাঁকে ইদানীং তৃণমূলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চেও ছিলেন ঋতব্রত।

যুবতীর বক্তব্য, ঋতব্রতের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ ধামাচাপা দিতেই শাসক দলের সঙ্গে মাখামাখি শুরু করেছেন ওই সাংসদ। এখানে বিচার পাওয়া মুশকিল। বাধ্য হয়েই তিনি অগস্টে নেদারল্যান্ডস পুলিশের দ্বারস্থ হন। অচিরেই তাঁর অভিযোগ ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পাঠানোর কথা। যদিও বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋতব্রতের নামে বিদেশ থেকে কোনও অভিযোগ এখনও তাদের কাছে আসেনি।

ঋতব্রত বলেন, ‘‘বিচারাধীন বলেই বিষয়ে এখন কিছু বলব না। তবে আগেও বলেছি, গোটাটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’

যুবতীর দাবি, ২০১৬ সালে ঋতব্রত সিপিএমে থাকাকালীন তাঁদের আলাপ হয়। দিল্লিতে গিয়ে তিনি ওই সাংসদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তখনই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঋতব্রত সহবাস করেন। বিয়ে করেননি বলে সেই সহবাস ধর্ষণের শামিল। বালুরঘাটে তাঁর মায়ের কাছে গিয়ে ঋতব্রত জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁকে বিয়ে করবেন। সেই বছরের অক্টোবরে উচ্চশিক্ষার জন্য যুবতী যান নেদারল্যান্ডসে। সেই বছরের ডিসেম্বরে নেদারল্যান্ডসে পৌঁছন ঋতব্রতও। দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঋতব্রত হুমকি দেন, ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন এবং তার জন্য যুবতীকে দায়ী করে যাবেন।

যুবতী নেদারল্যান্ডস পুলিশকে জানান, সেই সময় ঋতব্রতকে দেখে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঋতব্রত ফের সহবাস করেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে ঋতব্রত অন্যত্র বিয়ে করেন। টাকা দিয়ে তাঁর মুখ বন্ধের চেষ্টা করা হয়। ঋতব্রত বিয়ে করছেন শুনেই তিনি দিল্লি ও বালুরঘাটে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নামে সিআইডি। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন ঋতব্রত। তদন্ত এখনও চলছে।

সম্প্রতি মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে কলকাতায় আসেন ওই যুবতী। পরে তাঁর মা মারা যান। তার পরে নেদারল্যান্ডস পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান ওই যুবতী। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি এখন লন্ডনে।

Ritabrata Banerjee Rape Allegation Netherlands CID
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy