বাঁকুড়ার রসুলপুরের হাই মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা।
বাজিমাত করল মেয়েরা।
হাইমাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম দশে দখলে নিল আট ছাত্রী। চলতি বছরে হাইমাদ্রাসা পরীক্ষার ফলাফলে ছাত্রীরা নজরকাড়া সাফল্য লাভ করেছে। প্রথম দশে মেয়েদের জায়গা পাওয়া সর্বকালীন রেকর্ড বলে জানাচ্ছেন মাদ্রাসা পর্ষদের কর্তারা। কেবল প্রথম দশেই নয়, গত বারের নিরিখে ছাত্রীদের পাশের হারও বেড়েছে। ২০১৫ সালে ছাত্রীদের পাশের হার ছিল ৭৪.৬৬ শতাংশ। চলতি বছরে ছাত্রীদের পাশের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫.০৪ শতাংশে।
এ বার হাইমাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর বাসন্তী হেদায়েতুল্লাহ হাইমাদ্রাসার ছাত্রী সুমনা খাতুন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৪৮। এ বার তৃতীয়, চতুর্থ স্থানও দখলে রেখেছে ছাত্রীরা। তৃতীয় হয়েছে বাঁকুড়ার রসুলপুর হাইমাদ্রাসার ছাত্রী শবনম খাতুন। শবনমের প্রাপ্ত নম্বর ৭৪৬। রসুলপুর হাইমাদ্রাসা থেকেই ষষ্ঠ হয়েছে ফারহানা তাসমিন। চতুর্থ স্থানাধিকারী মুর্শিদাবাদের আমিরাবাদ হাইমাদ্রাসার ছাত্রী মুসফিকা খাতুন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৪৩। উত্তর ২৪ পরগনার আরিজুল্লাহপুর সিদ্দিকিয়া হাইমাদ্রাসার সুজানা মণ্ডল, মালদহের দারিপুর বৈশি হাইমাদ্রাসার তৌফিকা খাতুন, বর্ধমানের ওড়গ্রাম চতুষ্পল্লি হাইমাদ্রাসার সিঞ্জিনী খাতুন এবং উত্তর দিনাজপুরের রাহাতপুর হাইমাদ্রাসার নাসরিন সুলতানা যথাক্রমে সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম হয়েছে।
প্রথম দশে মেয়েরা সাফল্য লাভ করলেও সার্বিক ভাবে ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের সাফল্যের হার বেশি। চলতি বছরে মোট ১৩,৬৭৩ জন ছাত্র পরীক্ষা দিয়েছিল। উত্তীর্ণের সংখ্যা ১১,৪৮৬। পাশের হার ৮২.২৫ শতাংশ। এবার ৩১,৭৫৩ জন ছাত্রীদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩,৭৪৯ জন। মাদ্রাসা পষর্দের সচিব রেজানুল করিম তরফদার বলেন, ‘‘সার্বিকভাবে গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার সামান্য বেড়েছে। গতবার পাশের হার ছিল ৭৮ শতাংশ। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮.০৬ শতাংশ।’’
হাইমাদ্রাসার পাশাপাশি শুক্রবার আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হয়। এবার আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার ৭৮.১০ শতাংশ। গত বছর যা ছিল ৭৮.০৬ শতাংশ। ফাজিল পরীক্ষায় পাশ করেছে ৮০.০৫ শতাংশ। গত বছর ফাজিল পরীক্ষায় পাশের হার ছিল ৭৮.০৬ শতাংশ। ২০১৭ সালে হাইমাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষা শুরু হবে ৬ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy