পাহাড়ে মোর্চার সঙ্গে বিরোধ বাঁধতেই তার ছাপ পড়ল আলিপুরদুয়ারে। জেলা পরিষদে তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়েছেন মোর্চা সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। এবং তার পরে একযোগে বিরোধীরা অনাস্থা এনেছেন জেলা সভাধিপতি মোহন শর্মার বিরুদ্ধে। যদিও এতে তৃণমূল নেতৃত্ব বিশেষ চিন্তিত নন।
বরং এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে ব্লক নেতাদের নিয়ে বৈঠক করলেন মোহন।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদে মোট আসন ১৮টি। তৃণমূলের ছিল ১০টি। তা ছাড়া, সিপিএম ৬ আরএসপি ১ এবং মোর্চা সমর্থিত নির্দল সদস্য ছিলেন এক জন। বোর্ড গঠনের সময় ওই নির্দল সদস্য তৃণমূলকে বাইরে থেকে সমর্থন করেন। সম্প্রতি তিনি সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অতুল সুব্বাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে তৃণমূল এবং সম্মিলিত বিরোধী, দু’পক্ষেরই এখন ন’জন করে সদস্য।
কিন্তু এই অনাস্থা নিয়ে তৃণমূল বিশেষ চিন্তিত নয়। দলের শীর্ষ স্তরের নেতা সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘অনাস্থা আনার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। তবে বিরোধীদের থেকে আমরা সংখ্যায় বেশি। অনাস্থা এলে তখন দেখা যাবে।’’ মোহন শর্মা বলেন, “অনাস্থা নিয়ে ভাবার সময় নেই। শনিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছি। অনাস্থার মতো ছোট বিষয় মুখ্যমন্ত্রীকে জানাইনি।”
মোহন অনুগামীদের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি বিরোধীরা। আলিপুরদুয়ারের আর এক নেতা সৌরভ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘দলনেত্রীর নির্দেশে পাহাড়ে সংগঠন বাড়ছে। ঘুম উড়েছে মোর্চা, বাম, বিজেপির। সমতলে এরা সকলে মিলে জোট বাঁধছে।’’
জেলা সহ-সভাধিপতি অতুল সুব্বার বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘‘ইস্তফা না দিয়ে তিনি কী ভাবে অনাস্থা আনেন?’’ যদিও সিপিএমের শুক্লা ব্রহ্ম বলেন, ‘‘আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত অনাস্থার দিন ঘোষণা করুক।’’ সে ক্ষেত্রে তাঁরা যে মোর্চার সঙ্গে মিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন, তা-ও এ দিন স্পষ্ট করে দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy