Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

গুরুঙ্গ নিয়ে পোস্টার-যুদ্ধ

রবিবার অনীত থাপা কার্শিয়াঙে সভা করে গুরুঙ্গকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হয় আত্মসমর্পণ করুন, নয়তো জঙ্গলেই থাকতে হবে। তার পরে দার্জিলিঙের চকবাজারে পোস্টার পড়ে, গুরুঙ্গকে খুনের চক্রান্ত হচ্ছে।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:১৪
Share: Save:

পোস্টারের পাল্টা পোস্টার। দুই পোস্টারে ‘লেখকের’ জায়গায় প্রায় একই নাম— পাহাড়ের জনতা। এবং দুই পোস্টারেই আলোচনার কেন্দ্রে একটি নাম— বিমল গুরুঙ্গ।

রবিবার অনীত থাপা কার্শিয়াঙে সভা করে গুরুঙ্গকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হয় আত্মসমর্পণ করুন, নয়তো জঙ্গলেই থাকতে হবে। তার পরে দার্জিলিঙের চকবাজারে পোস্টার পড়ে, গুরুঙ্গকে খুনের চক্রান্ত হচ্ছে। সোমবার সেই চকবাজারের সুমেরু মঞ্চের কাছে আবার পাল্টা পোস্টার পড়ল। যেখানে লেখা: আপনি বরং পাকাপাকি ভাবে জঙ্গলেই থেকে যান!

সোমবার ছিল ৩০ তারিখ। এর আগে গুরুঙ্গ ঘোষণা করেন, এ দিনই তিনি দার্জিলিঙে আত্মপ্রকাশ করবেন। যদিও পরে সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রোশন গিরি বিবৃতি দিয়ে সে কথা জানান। পাহাড়ের লোকজন বলছেন, পরিস্থিতি অনুকূল নয় মনে করেই হয়তো গুরুঙ্গ প্রকাশ্যে আসতে চাননি। এই দিনটাকে কেন্দ্র করেই পোস্টার, পাল্টা পোস্টারের প্রতিযোগিতা। ও অনীতের হুঁশিয়ারিও।

পাহাড়ের নেতাদের ধারণা, যত দিন যাচ্ছে, পাহাড়ে গুরুঙ্গের পায়ের তলায় মাটি নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং কয়েক জন কট্টরপন্থীদের সাহায্যে পোস্টার, অডিও বার্তা ছেড়ে গুরুঙ্গ প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে চাইছেন।

কিন্তু সেই কট্টরপন্থীদের সাহায্যই বা আর কত দিন পাবেন গুরুঙ্গ? কারণ, গুরুঙ্গপন্থীরা ধীরে ধীরে বিনয় তামাঙ্গদের দিকে ঝোঁকা শুরু করে দিয়েছেন বলে পাহাড় সূত্রে খবর।

এ দিনই সিংলা, তাকদা এবং তিস্তা ভ্যালি এলাকার অন্তত যুব মোর্চার ৪০০ সমর্থক-সদস্য দার্জিলিঙে যুব মোর্চার দফতরে বসে বিনয়দের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন। তাঁদের দাবি, ‘‘আমরা মোর্চা কর্মী। মোর্চাতেই থাকব। কিন্তু দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বেপাত্তা। হুমকি, গোলমালের রাজনীতিতে মানুষ তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় যাঁরা দলকে সামলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, আমরা তাঁদের পাশেই থাকব।’’

এর মধ্যে আরও দু’টি বিষয় এ দিন সামনে এসেছে। এক দিকে, গুরুঙ্গের বাড়িতে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে কট্টরপন্থীরা। কয়েকটি ছবিও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে তদন্ত হবে। অন্য দিকে, রোশন গিরির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বীরেন ভুজেল প্রশ্ন তোলেন, বিনয় তামাঙ্গ কেন তাঁর জেলবন্দি দাদা বরুণকে হাসপাতালে দেখতে যাননি? কেনই বা তাঁকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেননি?

জবাবে বিনয় জানান, এই ব্যাপারে যা করণীয় ছিল, করা হয়েছে। এই মৃত্যুতে যদি কোথাও গাফিলতি থাকে, প্রশাসনিক তদন্তে তা ধরা পড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE