‘তবু অনন্ত জাগে’
আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।
রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুঞ্জয়ী। তাঁর সৃষ্টি জয় করেছে ত্রিভূবনের ধারাকে। আসলে তিনি মৃত্যুকে দেখেছেন মহাজীবনের যতি হিসেবে। এই সংসার তাঁর কাছে ধরা পড়েছে এক অখণ্ড রূপে।
বাইশে শ্রাবণ। কবির চির-প্রস্থানের দিন। অথচ তিনি যেন মিশে রয়েছেন আপামর বাঙালির শিরায়-উপশিরায়। তাঁর প্রতিটি সৃষ্টিতে বাজে জীবন-লীলার সুর। আর সেই কারণেই কবির মৃত্যুকে নতুন উপধারায় নিয়ে এসেছে বেঙ্গল ওয়েব সলিউশন। ‘মৃত্যু যেন নতুন সূচনার আখ্যান’ — এই ভাবনা নিয়েই কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে, আগামী ২০ অগস্ট সন্ধ্যে ৬টায় কলকাতার কলামন্দিরে রবীন্দ্রনাথের স্মরণে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘তবু অনন্ত জাগে’। মোট দু’টি ভাগে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হতে চলেছে। প্রথম ভাগে থাকবে রবীন্দ্রনাথের লেখা গান, কবিতা এবং নানান গল্প। অনুষ্ঠানে ভাষ্যকারের ভূমিকায় থাকবেন অমিত মিত্র। এবং গানে থাকবেন সঙ্গীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তী। রাজার কণ্ঠে উঠে আসবে বিশ্বকবির লেখা কবিতা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগ ‘একক জয়তী’। সেখানে থাকছে জয়তীর পুজো পর্যায় ও রবীন্দ্রনাথের লেখা বর্ষার কিছু বিশেষ গান।
তা ছাড়াও এই অনুষ্ঠানটি এমন কিছু গান দিয়ে সাজানো হয়েছে, যার সঙ্গে মৃত্যুর কোনও সংযোগ নেই। বরং এই অনুষ্ঠানের আয়োজন মৃত্যুর নিকষ কালো থেকে বের হয়ে আলোর পথে জীবনকে খুঁজে নেওয়ার একটা প্রয়াস।এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে অমিত মিত্র জানাচ্ছেন, “শ্রাবণের বাইশ আদতে কোনও মৃত্যুদিন নয়, এই দিনটাকে মৃত্যু বলে আমরা ভুল নামে ডাকি। এই দিনটি আসলে উত্তরণের দিন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনে বার বার বহু মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছেন। আর সেই মৃত্যুগুলো থেকেই জন্ম নিয়েছে তাঁর নতুন সৃষ্টি, নতুন ভাবনা। তা সে কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু হোক বা মৃণালিনী দেবীর মৃত্যু। এই পর পর এক একটা মৃত্যু জীবন্ত হয়ে ধরা দিয়েছে তাঁর সৃষ্টিতে। মূল অনুষ্ঠানের প্রেক্ষাপটটি এই চার লাইনের থিমকে ধরে ইতিবাচকভাবে চিন্তা করা হয়েছে।”
শ্রাবণের বাইশ আসলে কোনও মৃত্যুদিন নয়। এই দিন আসলে নতুন প্রাণের। জীবনের জয়গানের। সেই মৃত্যুহীন প্রাণকে কুর্ণিশ জানাতেই তৎপর বেঙ্গল ওয়েব সলিউশন।
টিকিট কাটতে ক্লিক করুন: https://in.bookmyshow.com/events/baishey-shrabon-aj-kono-mrityudin-noy/ET00362732
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy