আচার্য চেয়েছিলেন উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে, শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতেই। ভর্তির মরসুমের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পঠন-পাঠন নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন তিনি। তবে তা চাইছে না রাজ্য সরকার। তাই আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর ডাকা উপাচার্য সম্মেলনের প্রস্তুতি মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্য এই ধরনের আলোচনা কেন এখনই চাইছে না, রাজভবনে গিয়ে তা জানানোর কথা ছিল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু ‘ব্যস্ততা’র কারণে তিনি এখনও রাজ্যপালকে তা জানাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের এই মনোভাবে, বিশেষত শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালকে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানোর কথা বলেও তা এখনও না করায় ‘অসন্তুষ্ট’ কেশরীনাথ।
রাজভবনের বক্তব্য, আচার্য হিসেবে উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করার পূর্ণ অধিকার রাজ্যপালের রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আইনে আচার্যের যে ভূমিকার কথা বলা হয়েছে, তাতেই সে কথা স্পষ্ট। অতীতে রাজ্যপাল তথা আচার্য হিসেবে গোপালকৃষ্ণ গাঁধী বা এম কে নারায়ণনও উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন যখন বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বড়সড় পরিবর্তন এসেছিল, তখনও নারায়ণন উপাচার্যদের নিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সমস্যার জেরে অচলাবস্থার সময়ে উপাচার্য আচার্যের কাছে এসেছিলেন।