ছবি: সংগৃহীত।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের আগে ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ বা পুলিশ দিয়ে প্রার্থীর বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া এবং মেডিক্যাল টেস্ট বা স্বাস্থ্যপরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে আইন এনেছিল রাজ্য সরকার। তার বিরুদ্ধে বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি আন্দোলনে নামে। মামলাও করে। এ বার সেই বিষয়টি স্থগিত রাখল সরকার।
উচ্চশিক্ষা দফতরের এক নির্দেশে বলা হয়েছে, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে নিয়োগ যেমন চলছে, তেমনই চলবে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তির আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন বা মেডিক্যাল টেস্টের প্রয়োজন নেই। ‘দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ (প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণ) বিল, ২০১৭’ বিধানসভায় পাশ হয় ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সে-দিনই বিধানসভায় শিক্ষা বিল পেশ করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, অন্যান্য বিভাগে নিয়োগে যেমন হয়, সে-ভাবেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের আগে প্রার্থীদের পুলিশি যাচাই ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হল। কিন্তু ওই আইনের অন্য কয়েকটি ধারা এবং পুলিশি যাচাই ও স্বাস্থ্যপরীক্ষার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে পড়ে বিভিন্ন বিরোধী শিক্ষক সংগঠন।
ওয়েবকুটা-র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ বুধবার বলেন, ‘‘বিলটি আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পরেই আমরা বিরোধিতা করি। আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিলাম। পুলিশি যাচাই ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা যে স্থগিত হল, এটা আমাদের নৈতিক জয়।’’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, পুলিশ দিয়ে প্রার্থীর বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া এবং স্বাস্থ্যপরীক্ষায় আপত্তি ছিল তাঁদেরও। তিনি বলেন, ‘‘এ-সবের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। বিষয়টি আপাতত স্থগিত হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy