Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

গজলডোবায় জমি নিয়ে জট কাটাতে চেষ্টা

শনিবারই প্রস্তাবিত হেলিপ্যাডের এলাকা থেকে ফলক খুলে দূরে সরিয়ে নিয়েছে পর্যটন দফতর।

বিক্ষোভ: গজলডোবার কাছে মিলনপল্লিতে স্থানীয় কৃষকদের আন্দোলন। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: গজলডোবার কাছে মিলনপল্লিতে স্থানীয় কৃষকদের আন্দোলন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ০৪:৩১
Share: Save:

গজলডোবায় ভোরের আলো প্রকল্পের সঙ্গে প্রস্তাবিত হেলিপ্যাডের জমি নিয়ে জট সোমবার কিছুটা কাটল। তবে হেলিপ্যাডের সঙ্গেই অ্যাপ্রোচ রোডের উপর প্রস্তাবিত ফ্লাইওভার নিয়ে নতুন সমস্যা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ফ্লাইওভারের জন্য আরও ১৩টি পরিবারকে সরার কথা মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। সোমবার কিসান মোর্চা সমর্থিত ভূমিরক্ষা কমিটির নেতারা একটি বৈঠকের পর দাবি করেন, ওই পরিবারগুলিও জমির পাট্টা রয়েছে। তাঁরা সেখান থেকে সরবেন না। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের দাবি, ‘‘প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারের জায়গায় কোনও কৃষকের জমি নেই। ফ্লাইওভার নিয়ে সমস্যা করতে এলে সরকার সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিরোধ করবে।’’

শনিবারই প্রস্তাবিত হেলিপ্যাডের এলাকা থেকে ফলক খুলে দূরে সরিয়ে নিয়েছে পর্যটন দফতর। দীর্ঘ দিন পরে সোমবার জমি চাষ করেন এলাকার কৃষকরা। পুলিশ তাঁদের আটকায়নি। কৃষকদের দাবি, এক বছর থেকে তাঁদের ওই এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছিল না।

ভূমিরক্ষা কমিটির নেতাদের দাবি, ওই ১৩ পরিবারগুলিরও এক একর করে জমির পাট্টা রয়েছে। তারা কোনও অবস্থাতেই সেগুলি ছাড়বেন না। ভূমিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান তথা কিসান মোর্চার নেতা নকুল দাস বলেন, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, পাট্টা রয়েছে এরকম কোনও কৃষককেই এলাকা থেকে সরানো যাবে না। প্রয়োজনে বড় আন্দোলন হবে।’’ এলাকায় চাষবাস ছাড়াও পুকুর খুঁড়ে মাছচাষও করে পরিবারগুলি। স্থানীয় কৃষক অনিল সন্যাসী বলেন, ‘‘আমাদের পাট্টা রয়েছে। কিন্তু তাও আমাদের বলা হয়েছে, ওই পাট্টার নাকি কোনও দাম নেই। আমরা এখান থেকে সরলে রুটিরুজির কী হবে?’’

তবে পর্যটন দফতরের কর্তাদের দাবি, প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারের এলাকায় কোনও কৃষকের জমি নেই। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘প্রকল্প ঘিরে নতুন অশান্তি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা হেলিপ্যাড কৃষকদের স্বার্থেই সরিয়ে নিয়েছি। এ বার ফ্লাইওভার নিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করতে গেলে প্রয়োজনে আমি নিজে প্রতিরোধে নামব।’’ মন্ত্রীর দাবি, প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারের জায়গায় দুই তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা এবং দুলাল দত্তের রায়ত জমি রয়েছে। তাঁরা জমি দিতে রাজি হয়েছেন। কাউন্সিলর দুলাল দত্ত বলেন, ‘‘আমরা চারজন অংশীদার মিলে সেখানে চার বিঘে জমি কৃষকদের কাছে কিনেছি। সরকার চাইলে উন্নয়নের কাজে জমি দেব।’’ সূত্রের দাবি, রঞ্জন শীলশর্মারও সেখানে এক একর জমি রয়েছে। তিনিও জমি দিতে সম্মত হয়েছেন।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Land Helipad Bhorer Alo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE