Advertisement
E-Paper

মহিলা খুনে ধৃত সরকারি কর্মী

গড়বেতার আমলাগোড়ার কংসাবতী এলাকার এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কল্যাণী দেবসিংহ (৪১)-এর মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অরুণ দেবসিংহকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সম্পর্কের টানাপড়েন। তার জেরেই এক মহিলাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সরকারি কর্মী।

গড়বেতার আমলাগোড়ার কংসাবতী এলাকার এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কল্যাণী দেবসিংহ (৪১)-এর মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অরুণ দেবসিংহকে। অরুণ কংসাবতী ক্যানেল ডিভিশন (ভুক্তি ১) আমলাগোড়া অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। শনিবার সন্ধ্যায় অরুণের কোয়ার্টার থেকেই কল্যাণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার অরুণকে গ্রেফতার করা হয়। গড়বেতার এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ধৃতকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপড়েনেই এই খুন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

অরুণের বাড়ি শালবনির কলাইমুড়িতে। তিনি রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ বিভাগের কংসাবতী ক্যানেল ডিভিশন (ভুক্তি ১) এর আমলাগোড়া অফিসে দীর্ঘদিন ধরেই নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। থাকতেন আমলাগোড়ার কোয়ার্টারে। আর তাঁর স্ত্রী-সন্তান থাকতেন শালবনির গ্রামে। চাকরি সূত্রে আমলাগোড়ায় থাকার সুবাদেই স্থানীয় গণকবাঁন্দি এলাকার বাসিন্দা কল্যাণীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অরুণ। স্বামী পরিত্যক্তা এই মহিলা স্থানীয় একটি স্কুলে অস্থায়ী সাফাইকর্মী পদে কাজ করতেন। কল্যাণী ও অরুণ প্রায় ২২ বছর ধরে অরুণের সরকারি কোয়ার্টারেই থাকতেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের একটি ১৩ বছরের মেয়েও রয়েছে। সে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে।

মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে কল্যাণী প্রায়ই হস্টেলে যেতেন। শুক্রবার থেকে মা না যাওয়ায় মেয়ের সন্দেহ হয়। শনিবার বিকেলে বান্ধবীকে নিয়ে অরুণের কোয়ার্টারে গিয়ে সে দেখে, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। ডাকাডাকিতে সাড়া না পাওয়ায় ছোট পাঁচিল টপকে ঘরে ঢুকে মেঝেতে মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে সে। কল্যাণীর মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই আটক করা হয় অরুণকে। এ দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দু’জনের প্রায়ই অশান্তি হত। দু’জনেই মদ্যপানও করতেন। শুক্রবার রাতে অশান্তি চরমে উঠলে মদ্যপ অবস্থায় কল্যাণীকে মারধর করেন অরুণ। চুলের মুঠি ধরে কংক্রিটের মেঝেতে মাথা ঠুকে দেন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন কল্যাণী।

Crime Murder Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy