বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘আচার্য হিসেবে জগদীপ ধনখড় রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মহুয়া মুখোপাধ্যায়কে উপাচার্য পদে বসালেন। ১৯৮১ সালের রবীন্দ্রভারতী আইনের (১)(বি) ধারা মেনে।’
টুইটে ধনখড় আরও জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ৯ জুন একটি বৈঠকে বসেছিল রবীন্দ্রভারতীর সার্চ কমিটি। সেখানেই উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য তিনটি নাম প্রস্তাব করা হয়। সেই তিনটি নাম হল— রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা মহুয়া, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক স়ঞ্জীবকুমার দত্ত এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপালের টুইটে এ-ও লেখা হয়েছে যে, এর পরেই শিক্ষা দফতরের তরফে আচার্যকে গত ২৪ জুন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বেছে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। সার্চ কমিটির সুপারিশে প্রথম যাঁর নাম ছিল, তাঁকেই রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে বেছে নিয়েছেন আচার্য।
প্রসঙ্গত, পরিষদীয় এবং সংসদীয় রীতি অনুযায়ী কোনও বিল আইনসভায় পাশ হয়ে গেলেও সেটি আইনে পরিণত করতে রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সই প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্যের পদ দেওয়ার বিলটিও রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। তার পর সেটি রাজ্যপালের সাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়েছে রাজ ভবনে। রাজ্যপাল তাতে সই করবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। দেখা গেল, রাজ্যপাল ওই বিলে সই করেননি। বরং তিনিই আচার্য হিসেবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অবশ্য বক্তব্য, রাজ্যের স্তরে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্তরে রাষ্ট্রপতি আইনসভায় পাশ-হওয়া বিলে সই না-করলে সংশ্লিষ্ট সরকার আইনসভায় অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) এনে সংশ্লিষ্ট বিলটিকে আইনে পরিণত করতে পারে। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর এই আচার্য বিলের ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তেমন কোনও পদক্ষেপ করে কি না, তার দিকে কৌতূহলি হয়ে তাকিয়ে থাকবে রাজ্যের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহল।