—ফাইল চিত্র।
নির্ধারিত দিনে নেতারা কেউ যাচ্ছেন না বুঝে রাজভবনে বিল নিয়ে সর্বদল বৈঠক কয়েক দিন পিছিয়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিরোধী শিবিরের দুই শীর্ষ নেতা রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকের দিন উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তার পরেই বৈঠকের দিন বদল করে ১৭ জানুয়ারির পরিবর্তে ২১ জানুয়ারি বিকালে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। শাসক দল তৃণমূল অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, এমন বৈঠক ডাকার এক্তিয়ারই রাজ্যপালের নেই। তাই যে দিনই বৈঠক হোক, তারা সেখানে যোগ দেবে না।
গণপ্রহার প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি বিল বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরেও রাজ্যপালের সম্মতি না পাওয়ায় আইনে পরিণত হয়নি। একই মেমো নম্বরে দু’টি বিলে দু’রকম বয়ান রেখে রাজ্য সরকার বিধানসভার সঙ্গে ‘তঞ্চকতা’ করেছে বলে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। তফসিলি জাতি ও জনজাতি কমিশন সংক্রান্ত অন্য একটি বিল রাজ্যপালের অনুমোদনের অভাবে বিধানসভায় পেশ করা যায়নি। ওই দু’টি বিল নিয়েই আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সব পরিষদীয় দলের নেতাকে রাজভবনে বৈঠকে ডেকেছেন ধনখড়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিল দু’টির বিষয়ে এক দিকে চাওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় তথ্য রাজভবনকে দেওয়া হচ্ছে না। আবার অন্য দিকে করাজ্য সরকার ও বিধানসভার তরফে প্রকাশ্যে যা বলা হচ্ছে, তা ধোপে টেকে না!’’
প্রথমে ১৭ তারিখ বৈঠকের কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী দলীয় বৈঠকের জন্য রাজ্যর বাইরে যাওয়ায় বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। রাজ্যপাল মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা মান্নানকে ফোন করে তাঁদের সুবিধামতো অন্য তারিখের কথা জানতে চান। মান্নান আবার কথা বলেন সুজনবাবুর সঙ্গে। তার পরে ২১ তারিখ বিকালে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: শৌচ প্রকল্প শেষ না-করলে শাস্তি, ইঙ্গিত ফিরহাদের
এরই পাশাপাশি গণপ্রহার প্রতিরোধ বিল পাশ এবং ‘সংবিধান দিবস’ পালনের দিনের বিধানসভার কার্যবিবরণী জানতে চেয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। স্পিকারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যা ঘটছে, তা অনভিপ্রেত। স্বাভাবিক সৌজন্যও ভুলে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy