Advertisement
E-Paper

জিটিএর মাছের চোখ এখন বিনিয়োগ

পাহাড়ের বর্ণময় সংস্কৃতি, নানা ঐতিহ্যপ্রাচীন খাবার, অস্ত্রশস্ত্র ও বাদ্যযন্ত্রের বিপণনের জন্যও শিল্প বিশেষজ্ঞদের আহ্বান করবে জিটিএ। বিনয় জানান, উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে নিজস্ব সাংস্কৃতিক দল তৈরি করে দেশে-বিদেশে সেখানকার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৮ ০১:৪২
বিনয় তামাঙ্গ।

বিনয় তামাঙ্গ।

দার্জিলিং পাহাড়ে শিল্প সম্মেলন আসন্ন। আর তাকে সামনে রেখেই ত্রিমুখী লক্ষ্য পূরণের জন্য ঝাঁপাতে চাইছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) কেয়ারটেকার বোর্ড। শনিবার দার্জিলিঙের লালকুঠিতে সম্মেলনের প্রস্তুতি বিষয়ক বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন জিটিএ-এর কেয়ারটেকার চেয়ারম্যান বিনয় তামাঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য পাহাড়ে শিল্পের পরিকাঠামো গড়তে লগ্নি টানা। এর জন্য অন্তত চার বছর লাগবে। দ্বিতীয়ত, অপেক্ষাকৃত কম বিনিয়োগে ও কম সময়ে এই পরিকাঠামো তৈরি করতে চাই। আর শিল্প সম্মেলন যে দিন শেষ হবে তার এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা পাহাড়ের চাষিদের উৎপাদিত জিনিস বিপণনের আধুনিক ব্যবস্থা করতে চাই।’’ আগামী ১৩ মার্চ দার্জিলিঙের ম্যালে শিল্প সম্মেলন শুরু হবে। তা চলবে ১৪ মার্চ পর্যন্ত।

সেই সঙ্গে পাহাড়ের বর্ণময় সংস্কৃতি, নানা ঐতিহ্যপ্রাচীন খাবার, অস্ত্রশস্ত্র ও বাদ্যযন্ত্রের বিপণনের জন্যও শিল্প বিশেষজ্ঞদের আহ্বান করবে জিটিএ। বিনয় জানান, উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে নিজস্ব সাংস্কৃতিক দল তৈরি করে দেশে-বিদেশে সেখানকার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। তেমনই দার্জিলিঙের নানা জাতি-উপজাতিদের সংস্কৃতিও তুলে ধরার জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে। সেই কাজে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা চাওয়া হবে। পাহাড়ের স্নো লায়ন্স ডান্স সহ নানা নাচের দলকে বাছাই করে দেশ-বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারেও সহযোগিতা করবে জিটিএ। কলকাতা, দিল্লি সহ দেশের প্রধান শহরগুলিতে দার্জিলিঙের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে স্থায়ী প্রদর্শশালা তৈরির জন্য জিটিএকে রাজ্য সহযোগিতা করবে বলে বিনয় জানিয়েছেন।

জিটিএ সূত্রের খবর, শিল্প সম্মেলনে প্রথম সারির শিল্পপতিতের একাংশকে দেখা যাবে। কিন্তু, বিনিয়োগের ঘোষণা হলেও তা কার্যকর হতে সময় লাগবে। সে জন্য আশু লক্ষ্য হিসেবে পাহাড়ের ৩ হাজার চাষিকে আধুনিক বিপণনের সুযোগ দিতে শিল্প সম্মেলন শেষ হলেই আসরে নামবে জিটিএ। জিটিএর কেয়ারটেকার চেয়ারম্যান জানান, পাহাড়ের আদা, অর্কিড, হলুদ, কচু, এলাচ ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে প্যাকেজিং করে নানা ব্রান্ড লাগিয়ে বিক্রি করে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাষিদের ওই উৎপাদিত জিনিস পাহাড়েই প্যাকেজিং করে দার্জিলিংয়ের ব্রান্ডেও বিপণনের ব্যবস্থা করে দেব। সে জন্য রাজ্য সরকার ও জিটিএ মিলে চাষিদের আর্থিক সহযোগিতা দেবে বলে তিনি জানান। প্রথম দফায় ৩ হাজার চাষিকে ওই সুযোগ দেওয়া হবে বলে জিটিএ সূত্রে খবর।

Gorkhaland Binoy Tamang GTA জিটিএ Darjeeling দার্জিলিং
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy