জগদ্দল থানায় সুব্রত। ছবি সুদীপ ঘোষ।
প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে কিশোরী ভলিবল প্লেয়ারকে শুক্রবার বিকেলে খুন করার পর শনিবার সকালে আত্মসমর্পণ করল যুবক। সুব্রত সিংহ নামে শ্যামনগরের বাসিন্দা ওই যুবক জগদ্দল থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। শুক্রবার বিকেল থেকেই সুব্রতকে খুঁজছিল পুলিশ।
ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। সঙ্গীতা আইচ ওরফে টিনা নামে যে কিশোরী খুন হয়েছে, মেয়েদের রাজ্য জুনিয়র ভলিবল দলের সদস্যা ছিল। সুব্রত দীর্ঘ দিন ধরেই তাকে প্রেম নিবেদন করছিল বলে জানা গিয়েছে। মৃতার পরিজনদের অভিযোগ, টিনা সুব্রতর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে বার বার টিনাকে উত্যক্ত করত। শুক্রবার বিকেলে অবশেষে দুর্ঘটনা ঘটেই গেল। বারাসত নতুনপুকুর অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে সঙ্গীতা ওরফে টিনা যখন প্র্যাকটিস করছিল, তখন হাঁসুয়া নিয়ে মাঠে হাজির হয় সুব্রত। মাঠেই কুপিয়ে খুন করে টিনাকে। তার পর মাঠ থেকে একটি জার্সি তুলে নিয়ে হাঁসুয়া এবং নিজের গায়ে লেগে যাওয়া রক্ত মুছে পালিয়ে যায়।
ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা বারাসতে। পুলিশ সুব্রত সিংহের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তবে তার খোঁজ মিলছিল না। শনিবার সকালে জগদ্দল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে সুব্রত। টিনার সঙ্গে অন্য এক যুবকের সম্পর্ক নাকি মেনে নিতে পারছিল না সুব্রত। তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে টিনা অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় সুব্রত টিনাকে হুমকি দিতে শুরু করেছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সুব্রত সিংহকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
সুব্রত নিজেও ভলিবল প্লেয়ার। খেলার আসর থেকেই সুব্রত-টিনার আলাপ। টিনার প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, হাঁসুয়া নিয়ে তেড়ে আসতে দেখে সুব্রতকে তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তখন তাঁকেও কোপ মারতে উদ্যত হয় সুব্রত। প্রশিক্ষক বললেন, ‘‘আমি চেয়ার তুলে সুব্রতকে বাধা দিচ্ছিলাম। আর কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে সাহায্য করলে মেয়েটাকে এ বাবে মরতে হত না।
আরও পড়ুন:
যুবকের হাঁসুয়ার কোপে কিশোরী খুন বারাসতে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy