বিচারপতি ও আদালতকে নিয়ে এমন মন্তব্য করা হচ্ছে যা আদালত অবমাননারই শামিল বলে কলকাতা হাই কোর্টকে জানিয়েছিলেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করতে আদালতকে আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা যাবে। আইনজীবী শিবিরের একাংশের দাবি, হাই কোর্টের এক বিচারপতিকে নিশানা করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরে এই আর্জি জানান তরুণজ্যোতি।
কোভিডে মৃত এক ব্যক্তির ক্ষতিপূরণের মামলায় ২২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটা কে ভাইপো আছেন, তাঁর বাড়ি চারতলা। কোভিডের মৃত্যুর পরেও চাকরি হয় না। অথচ ভাইপোর বাড়ি কোটি টাকার। কোথা থেকে আসে এত টাকা?’’
সে দিনই নিজের এক্স হ্যান্ডলে কুণালের পোস্ট, ‘‘বিচারপতির চেয়ারে বসে যা ইচ্ছে বলা যাবে? রাজনীতি করা যাবে? গাঙ্গুলি, ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি করুন।’’ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকেও বলতে শোনা যায়, ‘‘উনি নিজের ভাইপোর কথা বলেছেন কি না, জানি না। নিজে বহুদিন হাই কোর্টে প্র্যাকটিস করেছি। কখনও এ রকম আবহাওয়া ছিল না।’’
কুণালের মন্তব্যের সূত্রেই তরুণজ্যোতির আবেদন জানান, মত আইনজীবীদের একাংশের।
বেশ কয়েক মাস ধরে কলকাতা হাই কোর্টে বিভিন্ন মামলায় পর্যুদস্ত রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল। বিশেষত নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিবিধ মামলায় উঠে এসেছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সংযোগের অভিযোগ। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিচারপতিদের মন্তব্যও করতে শোনা যাচ্ছে। তবে ২২ সেপ্টেম্বর কুণালের মন্তব্যের পরে বিষয়টি আদালতে উত্থাপনের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একটা বড় অংশ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)