Advertisement
E-Paper

আমি উপাচার্যদের শ্রেষ্ঠ বন্ধু: রাজ্যপাল

রাজ্যপাল আরও বলেন, “যখনই আমি উপাচার্যের থেকে জবাব পাব, তখন নিরপেক্ষ এবং আবেগহীন ভাবে বিষয়টি দেখব। উপাচার্যের বক্তব্যও স্বাগত জানাব। কয়েক জন উপাচার্য বা একটা গোষ্ঠী বিবৃতি প্রকাশ করেছে। আমি এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আচার্য হিসেবে আমি উপাচার্যদের বন্ধু।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:৫১
মঞ্চে: লাটাগুড়ির অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ছবি: সন্দীপ পাল

মঞ্চে: লাটাগুড়ির অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ছবি: সন্দীপ পাল

মুখ্যমন্ত্রীর পর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্যপাল। তার দু’দিনের মাথায় কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে বিরোধের বরফ কিছুটা গলার ইঙ্গিত মিলল। শুক্রবার লাটাগুড়িতে আইনজীবীদের একটি সংগঠনের একটি কর্মশালায় যোগ দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে শো-কজ করার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গে আরও একটি বিষয় রয়েছে। এই এলাকার এক উপাচার্যকে আমার নোটিস দিতে হয়েছে। একজন আচার্য নোটিস পাঠাচ্ছেন উপাচার্যকে, এটা কখনওই ভাল নয়। এটা খুবই কঠিন। আমি উপাচার্যদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে চাই। একজন আচার্য হিসেবে আমি উপাচার্যদের শ্রেষ্ঠ বন্ধু।” সেই সঙ্গে তিনি জানান, একজন উপাচার্য তাঁর থেকে সবসময়ে শ্রেষ্ঠ বিচার এবং সহানূভূতি পাবেন।

রাজ্যপাল আরও বলেন, “যখনই আমি উপাচার্যের থেকে জবাব পাব, তখন নিরপেক্ষ এবং আবেগহীন ভাবে বিষয়টি দেখব। উপাচার্যের বক্তব্যও স্বাগত জানাব। কয়েক জন উপাচার্য বা একটা গোষ্ঠী বিবৃতি প্রকাশ করেছে। আমি এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আচার্য হিসেবে আমি উপাচার্যদের বন্ধু।” তাঁর ওই বক্তব্যের শোনার পরে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রাজ্যপাল তথা আচার্যকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। তাঁকে সবসময়ই আমি সর্বোচ্চ সম্মান দেব। তাঁর ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই জায়গা থেকেই আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা করি।” সেই সঙ্গে উপাচার্য বলেন, “আমি এখনও একই কথা বলব, আমি বা আমরা কোনও ভুল করিনি। তাঁকে নিয়ম ও আইন মেনেই আমরা আমন্ত্রণ করেছি। তার পরে অনিচ্ছাকৃত ভাবে যদি কোনও সমন্বয়ের অভাব হয়ে থাকে, সে জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত।”

এদিন শিলিগুড়িতেও রাজ্যপাল বিষয়টি তোলেন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের জন্য রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। পরে বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানান, রাজভবনের এমন কিছু জানা নেই। তাঁর বক্তব্য, ‘‘উপাচার্যরা রাজ্যকে চিঠি দেন। সেখান থেকে কোনও কারণে তা রাজভবনে আসেনি। আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। সরকার এবং রাজভবনের অফিসারেরা বৈঠক করছেন। একটি রাস্তা বা নিয়ম খুঁজে বার করা হচ্ছে। আমি আশাবাদী সমস্যা মিটে যাবে।’’

coochbehar jagdeep dhankar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy