বাঘাযতীনের বহুতলকাণ্ডে এ বার গ্রেফতার করা হল হরিয়ানার এক সংস্থার কর্ণধারকে। তাঁর সংস্থা ওই বহুতলটিকে সোজা করার কাজের বরাত পেয়েছিল। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীনই বহুতলটির একতলার একাংশ ভেঙে যায় এবং বিপজ্জনক ভাবে চারতলা বাড়িটি হেলে পড়ে। এই ঘটনায় এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বহুতলের প্রোমোটারকে। এ বার হরিয়ানা থেকে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হল।
হরিয়ানার সংস্থার কর্ণধারকে ধরতে কলকাতা পুলিশের একটি দল সে রাজ্যে গিয়েছিল। সেখানেই সংস্থার কর্ণধার অভিষেক নাগারাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গত ১৪ জানুয়ারি বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে একটি বহুতল হেলে পড়ে। সেই সময়ে বহুতলটিতে কোনও বাসিন্দা ছিলেন না। কয়েক বছর আগে নির্মিত বহুতলটি প্রথম থেকেই এক দিকে হেলে ছিল বলে অভিযোগ। সেটাই সোজা করার বরাত দেওয়া হয়েছিল হরিয়ানার সংস্থাকে। বহুতল সোজা করার কাজ চলছিল বলে বাসিন্দারা অন্যত্র থাকছিলেন। সেই সময়েই আচমকা একতলার একাংশ ভেঙে পড়ে। এর ফলে সমগ্র বহুতলটি এক দিকে হেলে যায়। পরে কলকাতা পুরসভা সেই বহুতল ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ঘটনার ২১ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হল সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্ণধারকে।
আরও পড়ুন:
বাঘাযতীনের ওই বহুতলটি যিনি তৈরি করেছিলেন, সেই প্রোমোটারকে ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। বকখালির একটি হোটেল থেকে তাঁকে ধরে আনে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, বহুতলটি নির্মাণের সময়ে নিয়ম মানা হয়নি। বেআইনি ভাবে কোনও সঠিক পরিকল্পনা (প্ল্যানিং) ছাড়াই চারতলা বহুতল গড়ে তোলা হয়। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, যে ইঞ্জিনিয়ার এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁর গাফিলতিতে এমন ঘটনা। পরিকল্পনাহীন ভাবে বহুতল নির্মাণের বিষয়ে তিনি পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারকে দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘বাম আমলে কলকাতার কলোনি এলাকায় কোনও বাড়ি তৈরিতেই নিয়ম মানা হয়নি। আমরা সেই পাপের বোঝা বহন করছি।’’
বহুতলের বাসিন্দারা জানান, বহুতলটি এক দিকে হেলে যাওয়ার কথা প্রোমোটারকে বলেছিলেন তাঁরা। প্রোমোটার হরিয়ানার সংস্থাকে বহুতল সংস্কারের কাজের বরাত দিয়েছিলেন। সোমবার যাঁকে গ্রেফতার করা হল, সেই অভিষেক হরিয়ানার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার কর্ণধার বলেই জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাফিলতি খুঁজতে চান তদন্তকারীরা।