Advertisement
E-Paper

ছাত্রীকে নিগ্রহে ধৃত প্রধান শিক্ষক

ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ এবং কয়েক জন অভিভাবককে মারধরের অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৮
এনজেপি রেলওয়ে গার্লস হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগে চলছে বচসা।- নিজস্ব চিত্র

এনজেপি রেলওয়ে গার্লস হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগে চলছে বচসা।- নিজস্ব চিত্র

ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানি’ এবং কয়েক জন অভিভাবককে মারধরের অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ।

শিলিগুড়ির গা লাগোয়া এনজেপি রেলওয়ে গার্লস হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগে বৃহস্পতিবার সকালে ওই প্রধান শিক্ষক ছোট্টু হাঁসদার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এক নাবালিকা ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ নিয়ে ছোট্টুবাবুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কয়েক জন অভিভাবকের। পুলিশকর্মীরাও যান। তখন ছোট্টুবাবু পুলিশের সামনেই দুই অভিভাবিকাকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। তাঁদের এক জন বারান্দা থেকে পড়ে যেতেই দ্রুত উত্তেজনা ছড়ায়। বেশ কয়েক জন অভিভাবক ছোট্টুবাবুকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। তাঁর ঘাড়ে ছাতার ঘা-ও পড়ে। শেষে পুলিশই কোনও মতে ছোট্টুবাবুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ছোট্টুবাবুর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে নিগ্রহের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। অভিভাবকদের মারধরের অভিযোগও হয়েছে। তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাত পর্যন্ত পুলিশ করেনি। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে, প্রয়োজনে উপযুক্ত ধারা দেওয়া হবে।

ছোট্টুবাবু ওই এলাকাতেই থাকেন। এনজেপি-র কাছেই সুকান্তনগরের এক অভিভাবক জানান, তাঁর মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সে স্কুলে যেতে চাইছিল না। ওই অভিভাবকের দাবি, ‘‘বাড়িতে চেপে ধরায় মেয়ে কবুল করে, প্রধান শিক্ষক ক্লাসে তার গায়ে হাত দেয়। কাউকে সে কথা না বলার জন্য তাকে হুমকিও দিয়েছেন।’’ ওই অভিভাবক আরও কয়েক জনকে নিয়ে তার পরে স্কুলে যান। এর পরেই আস্তে আস্তে উত্তেজনা বাড়ে।

অভিভাবকদের অনেকেরই অভিযোগ, ছোট্টুবাবু এক মহিলার চুলের মুঠি ধরে বারান্দা থেকে ধাক্কা নিয়ে নীচে ফেলে দিয়েছেন। আরেক জনকে মারার চেষ্টা করেন। সেই সময় কয়েক জন পুলিশকর্মী ছোট্টুবাবুকে জাপটে ধরে কোনও মতে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে গিয়ে তোলেন।

ছোট্টুবাবুর দাবি, ‘‘শ্লীলতাহানি করিনি। ছাত্রীটিকে পড়ানোর সময় কাছে ডাকা হয়েছিল। তার ভুল ব্যাখ্যা করে উল্টে আমাকেই মারা হয়েছে।’’

কিন্তু পুলিশের সামনেই কী করে মারধর এতটা গড়াল? পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, পুরো ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Head sir molestation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy