১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি। — ফাইল ছবি।
সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) মামলার শুনানি। ১৫ মার্চ পরবর্তী শুনানি। সোমবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং হৃষীকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। রাজ্যের পেশ করা হলফনামায় ত্রুটি রয়েছে। তাই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল দু’মাস।
ডিএ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন রাজ্যে লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী। গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি প্রথম বার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। পাশাপাশি, এই মামলা শুনানির জন্য নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেখানে ছিলেন দুই বাঙালি বিচারপতি— বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। কিন্তু ওই দিনই মামলাটি থেকে বিচারপতি দত্ত সরে দাঁড়ান। ফলে মামলার শুনানি হয়নি। জানুয়ারিতে আবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ১৬ জানুয়ারি, সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ও হয়নি।
২০২২ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাদের যুক্তি, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের (কনফেডারেশন) আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেন, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে, এ কথা ঠিক। আবার এ-ও ঠিক যে, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। তা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত শুনানি না হওয়ায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের অপেক্ষা দীর্ঘতর হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy