Advertisement
E-Paper

ডিএ মামলার দ্বাদশ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে, আশায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা, সোমে মিলবে ‘মঙ্গল-বার্তা’?

গত বছর ২১ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করার কথা জানান মমতা। নবান্ন সূত্রে খবর, বর্ধিত হারে ১৪ লাখ সরকারি কর্মীকে ডিএ দিতে প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২১
A photograph of Supreme court

প্রায় তিন মাস পর সোমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠছে রাজ্যের ডিএ মামলা। —ফাইল ছবি।

প্রায় তিন মাস পরে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির তালিকায় উঠছে রাজ্যের ডিএ মামলা। সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর আগে মামলাটি ১১ বার শুনানির জন্য উঠেছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এটির দ্বাদশ শুনানি রয়েছে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, ৬ নম্বর কোর্টের মামলার তালিকার ৬০ নম্বরে রয়েছে ডিএ মামলা। গত শুনানিতে এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির করার কথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলাকারীদের আশা, এ বার হয়ত সেই শুনানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। সোমবারে ডিএ নিয়ে মিলতে পারে কোনও ‘মঙ্গল বার্তা’!

২০২২ সালে ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা। তার পর মামলাটি একাধিক বার শুনানির জন্য ওঠে। গত বছর ১ ডিসেম্বর মামলাটি শেষ বার শুনানি হয়েছিল। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, মামলাটি এখনও পর্যন্ত ১১ বার শুনানি হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র এক বার দীর্ঘ সময় ধরে শুনানি হয়। এই মামলায় আরও বিস্তারিত শুনানি রয়েছে বলে মনে করে শীর্ষ আদালত। গত বছর ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পশ্চিমবঙ্গের ডিএ মামলার আরও বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটি শুনানির জন্য আসবে। সেই অনুযায়ী সোমবার শীর্ষ আদালতের শুনানির তালিকায় এল মামলাটি। অন্যতম মামলাকারী কনফেডারেশনের সদস্য মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আশা করি দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করে দেবে শীর্ষ আদালত। ন্যায়বিচার পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। হাই কোর্ট আগেই রায় দিয়ে জানিয়েছে, ডিএ কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। আশা করি ওই রায় বহাল রাখবে শীর্ষ আদালত।’’ মূল মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘এর আগে ছ’বার এই মামলায় হেরেছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে আবার তারা হারবে।’’

কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএর দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ২০২২ সালের ২০ মে উচ্চ আদালত রাজ্যকে কর্মচারীদের কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। হাই কোর্টে জয়ী হয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের কনফেডারেশন, ইউনিটি ফোরাম এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদ। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। প্রথম শুনানি হয় ২৮ নভেম্বর। রাজ্যের হয়ে দাঁড়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙঘভি। তাঁর সওয়াল ছিল, হাই কোর্টের রায় মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এই মুহূর্তে ওই আর্থিক বোঝা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন। এর পর থেকে একের পর এক তারিখ দেওয়া হলেও নানা কারণে শুনানি সম্পূর্ণ হয়নি। অন্য দিকে, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ না-দেওয়ার জন্য নবান্নের বিরুদ্ধে একটি আদালত অবমাননার মামলাও হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে সেটির শুনানি আপাতত হাই কোর্টে স্থগিত রয়েছে।

গত বছর ২১ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ওই ঘোষণা অনুযায়ী ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। চলতি বছর জানুয়ারি থেকেই তা কার্যকর হওয়ার কথা। নবান্ন সূত্রে খবর, বর্ধিত হারে রাজ্যের ১৪ লাখ সরকারি কর্মীকে ডিএ দিতে প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে।

DA Case Supreme Court DA Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy