Advertisement
E-Paper

সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, কবে শুনবেন প্রধান বিচারপতি?

বিচারপতি সঞ্জীব খন্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বসার পর বৃহস্পতিবারই প্রথম এসএসসি মামলা শোনার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই শুনানি পিছিয়ে গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:২৯
সুপ্রিম কোর্টে এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল এসএসসি মামলার শুনানি।

সুপ্রিম কোর্টে এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল এসএসসি মামলার শুনানি। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল এসএসসির ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল নিয়ে মামলার শুনানি। এই শুনানি বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ১২ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। ওই দিন এই বিষয়ে দায়ের হওয়া সব মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষের বক্তব্য শুনবে আদালত।

বিচারপতি সঞ্জীব খন্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বসার পর বৃহস্পতিবারই প্রথম এসএসসি মামলা শোনার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই শুনানি পিছিয়ে গেল। এর আগে কয়েক বার এসএসসি মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তখন মামলাটি শোনার কথা ছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের।

গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দেয়। তার ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশও। বৃহস্পতিবার এই মামলারই শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানিতে মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য জানাতে হবে।

কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছিল ওই চাকরিপ্রাপকদের। সেই বিষয়গুলিও সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনা হয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরের শুনানিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, তাঁর বেঞ্চ আগে চাকরি বাতিল মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষ— রাজ্য, এসএসসি, সিবিআই, মূল মামলাকারী এবং যাঁদের চাকরি নিয়ে বিতর্ক, তাঁদের বক্তব্য শুনবে। তার পরেই এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে। তার পরে একাধিক বার শুনানির দিন বদলেছে। বৃহস্পতিবার বর্তমান প্রধান বিচারপতি খন্নার বেঞ্চে মামলাটি শোনার কথা ছিল। এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল সেই শুনানি।

Supreme Court Chief Justice of India Sanjiv Khanna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy