তবে কালবৈশাখী না-হওয়াতেও স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন অনেকে। এ দিন ই়ডেনে কেকেআর এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের খেলা ছিল। সেই খেলার দর্শকেরা ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস শুনে আঁতকে উঠেছিলেন। শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে খেলা হওয়ায় তাঁরা অবশ্য হাসিমুখেই বাড়ি ফিরেছেন।
আরও পড়ুন:দিল্লি পুরভোটেও মোদী ঝড়ের আভাস বুথফেরত সমীক্ষায়
বৃষ্টি না-হওয়ায় গরমে অতিষ্ঠ অধিকাংশ কলকাতাবাসীকে কিন্তু হতাশ করেছে পলাতক মেঘ। তবে আশার বাণী শোনাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস। তারা জানাচ্ছে, আজ, সোমবারেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বিহার-ঝাড়খণ্ডের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পাশাপাশি সেটিও কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আজ ঝড়বৃষ্টির আশা থাকলেও কাল, মঙ্গলবার থেকে ঘূর্ণাবর্তটি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তার ফলে কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও কিছুটা ক্ষীণ হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
সাধারণত এপ্রিলে কলকাতায় দু’তিটি কালবৈশাখী হয়। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের প্রথমার্ধে কালবৈশাখীর দেখা মেলেনি মহানগরে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, এপ্রিলের গোড়া থেকে বঙ্গোপসাগর থেকে জোলো হাওয়া ঢুকছিল না। ঝাড়খণ্ডের ছোটনাগপুর মালভূমি এলাকার তাপমাত্রাও সে-ভাবে বাড়ছিল না। অথচ কালবৈশাখীর ক্ষেত্রে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য এবং ছোটনাগপুরের গরম, দু’টোই প্রয়োজন। সেই শর্ত পূরণ করতে না-পারায় কালবৈশাখীও হচ্ছিল না। পরবর্তী কালে বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়লেও বড় আকারের বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়নি। ফলে পশ্চিমের জেলাগুলিতে কালবৈশাখী হলেও কলকাতা এবং লাগোয়া জেলাগুলির কপাল খুলছিল না। গত বুধবার থেকে সেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। হাপিত্যেশ করে বসে থেকে শেষমেশ শনিবার জোরালো কালবৈশাখী পায় কলকাতা। কিন্তু রবিবারেই আবার যে-কে-সেই!