ধসের জেরে সিকিমের জোরথাং থেকে মেল্লি রোডের পরিস্থিতি। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চমীর দিন, মঙ্গলবার থেকে পুজোর মরসুমে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে পাহাড়ে। তবে আবহাওয়া কতটা অনুকূল থাকবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে, আগামী কয়েক দিন সমতলে বৃষ্টির তীব্রতা কমলেও, পাহাড় এবং পাদদেশ এলাকায় তা কমতে আরও দু’-এক দিন সময় লাগবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবারেও সিকিম, কালিম্পং এবং দার্জিলিঙের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। সিকিমের দিকে সিংতাম থেকে মাঝিটার এলাকায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। উত্তর সিকিমের হালও খারাপ। জোড়থাং থেকে মেল্লির রাস্তায় ধস। কালিম্পং, সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের এ রাজ্যের অংশ খোলা থাকলেও, মাঝেমধ্যেই পাহাড়ে বৃষ্টি উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
আজ, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমার পূর্বাভাস থাকলেও পাহাড়ি উপত্যকায় জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতরের। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পাহাড় এবং পাদদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাত চলতে পারে। ধীরে ধীরে বৃষ্টি কমে আসবে পাহাড়ি এলাকায়।’’ তবে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা উত্তরবঙ্গ থেকে বিদায় নেয়নি বলেই জানান আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা।
গত বছরের তুলনায় এ বার পাহাড়ে পুজোর পর্যটক কিছুটা কম। যাঁরা এসেছেন, তাঁদের অধিকাংশ রয়েছেন দার্জিলিং এবং লাগোয়া এলাকাকে ঘিরে। কালিম্পঙে ভিড় তুলনামূলক কম। দার্জিলিঙের বিজনবাড়ি, লোধামা এবং সুখিয়াপোখরির দিকে ধসপ্রবণ এলাকার গ্রামে-গ্রামে আবহাওয়া এবং রাস্তার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষ করে, বহু হোম-স্টেতে যাতায়াতের রাস্তার হাল খারাপ।
ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাহাড়ে ছাতা হাতে পর্যটকদের ঘুরতে হচ্ছে বলে স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার ধসে বিধ্বস্ত দার্জিলিঙের একাংশ ঘুরে দেখে দ্রুত ভূ-প্রযুক্তিগত এবং প্রাকৃতিক বিপদ নিয়ে সমীক্ষা করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তা। প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করে ‘জিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’-কে (জিএসআই) দিয়ে সমীক্ষা করানো নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy