কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। ছবি: শৌভিক দে।
ছিল অতিগভীর নিম্নচাপ। এ বার তা শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে। লক্ষ্য তার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম। আর যাওয়ার পথে লেজের ঝাপটায় নড়ে যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাংশও। ফলে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।
ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখতো চট্টগ্রাম, তাহলে কৃষ্ণনগর, বারাসত, কলকাতার আকাশে ঘন কালো মেঘ কেন? কেনই বা ঝড়ে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল হাওড়ার বাউরিয়ায়? আলিপুর হাওয়া অফিস জানাল, চট্টগ্রামে ঢোকার পরে ঘূর্ণিঝড় অভিমুখ পরিবর্তন করে চলে আসবে খুলনা-যশোহরের দিকে। তারপরে তা উত্তর ২৪ পরগনা হয়ে পাড়ি দিতে পারে নদিয়ার দিকে। আর খুলনা দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ার সময়ে লেজের ঝাপটায় নাড়িয়ে দিয়ে যেতে সাগরদ্বীপকেও।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সাগরে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ মাত্রার বিপদ সঙ্কেত। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কলকাতা বন্দরেও বিপদসঙ্কেত জারি করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও। তাদের এক মুখপাত্র জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের প্রতিটি জাহাজকেই তৈরি রাখা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’’
ঘূর্ণিঝড় গোমেন আছড়ে পড়েছে। বিকেল ৪টে নাগাদ স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবি।
সবিস্তারে গোমেনের গতিপথ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি প্রধান নদী (অজয়, দামোদর, ময়ুরাক্ষী)-র অববাহিকায় অতি ভারী বর্ষণ হবে। জলাধার-কর্তৃপক্ষগুলিকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। কোন জলাধারে কত জল রয়েছে, কোথা থেকে কত জল ছাড়া যাবে তার প্রাথমিক হিসেবও সেরে রেখেছে সেচ দফতর। সেচ দফতরের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবনের নদীবাঁধগুলি। সাগরদ্বীপে সর্বোচ্চ ৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস থাকায় ইতিমধ্যেই নিচু এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের এক আবহবিদের মন্তব্য, ‘‘চট্টোগ্রামের দিকে যতো ঝড় এগোবে ততোই কলকাতার আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করবে। কলকাতাতেও ঝড়ো হাওয়া বইবে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছি আমরা। ‘গোমেন’-য়ের গতিপ্রকৃতি দেখে পরবর্তী সতর্কবার্তা জারি করব আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy