Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Mamata Banerjee

Mamata Banerjee's Election: ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলায় রায়দান স্থগিত হাই কোর্টে, মুখ্যসচিবের ভূমিকায় প্রশ্ন আদালতে

মামলায় দু’টি অংশ। প্রথমে মুখ্যসচিবের ভূমিকা সংক্রান্ত বিষয়ে রায়দান স্থগিত করেছে কোর্ট। অন্যদিকে, কমিশনের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করা হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:০৯
Share: Save:

ভবানীপুর উপনির্বাচন মামলায় রায়দান স্থগিত করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই মামলায় কমিশনের কাছে জবাবি হলফনামা চেয়েছিল আদালত। কিন্তু শুক্রবার আদালত জানিয়ে দেয় কমিশনের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় তারা। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে, এই মর্মে সুপারিশ করে কমিশনকে চিঠি লেখেন মুখ্যসচিব। ভোট বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনও সেই কথা উল্লেখ করে। যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। মামলাকারীর দাবি, শুধু মাত্র একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের জন্য এই ভাবে সুপারিশ করা যায় কি? শুক্রবার আদালতও ওই বিষয়টিকে সামনে রেখে কমিশনের কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন রাখে। তার আগে বৃহস্পতিবার অবশ্য হলফনামা আকারে কমিশনের কাছে আদালত জানতে চেয়েছিল, মুখ্যসচিব কি ভোট করানোর সুপারিশ করতে পারেন? শুক্রবার তার নির্দিষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী।

মুখ্যসচিবের কমিশনকে চিঠি পাঠানো নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল প্রশ্ন করেন, ‘‘চিঠি লেখায় কী ভূমিকা মুখ্যসচিবের?’’ তাঁর বক্তব্য, নির্দেশ দেওয়ার পরও কেন তা জিজ্ঞাসা করা হয়নি।

এর পর কমিশনের আইনজীবী বোঝানোর চেষ্টা করেন। তখন বিন্দল বলেন, ‘‘অন্য কিছু বোঝানোর চেষ্টা করবেন না।’’ তিনি ফের প্রশ্ন করেন, ‘‘এই চিঠি লেখার পিছনে মুখ্যসচিবের ভূমিকা কী? ১৩ সেপ্টেম্বর মামলা হয়েছিল। এত দিনেও উত্তর পেলেন না? কমিশন জানায়, মুখ্যসচিবের কোনও সাংবিধানিক ভুল হয়নি।” তখন বিন্দল প্রশ্ন করেন, ‘‘তা হলে উত্তর দিন, চিঠিতে ‘সাংবিধানিক সঙ্কট’ কেন বলেছেন মুখ্যসচিব? কেন একটি কেন্দ্রের নির্বাচনের জন্য বললেন জরুরি (এক্সিজেন্সি), অথচ, অন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন তা প্রযোজ্য হল না?’’

এর পর আসে মামলার দ্বিতীয় অংশ। যেখানে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে হাই কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, নির্বাচন করতে কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়। এক জন প্রার্থী জিতেও যদি ইস্তফা দেন, তা হলে ফের উপনির্বাচন হয়। জনগণের টাকাও খরচ হয়। আদালতের প্রশ্ন, কেন জনগণের অর্থ এই ভাবে খরচ করা হবে? এই বিষয়টি নিয়ে মামলা চলবে।

অন্য দিকে, মূল মামলার বাইরে গিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, জেতার পরও কোনও আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তার পর সেখানে বিপুল টাকা খরচ করে আবারও ভোট হচ্ছে। শুধু এ ক্ষেত্রে নয়, এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে। এ নিয়ে কী নিয়ম রয়েছে কমিশনের কাছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। যা নিয়ে ফের শুনানি হওয়ার কথা হাই কোর্টে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Bhabanipur Bhabanipur Bypoll
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE