রহস্যময়তা আর ভয়াবহতায় গত বার বাংলা কাঁপিয়ে দিয়েছিল সে। সেই রহস্যজনক খিঁচুনি-জ্বর ফের হানা দেওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ। বছর ঘুরতেই ফের সেখানে থাবা বসিয়েছে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস এবং অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোম বা এইএস। এর মধ্যে রহস্য বেশি এইএসের। কারণ, ওই জ্বরের ক্ষেত্রে উপসর্গ এনসেফ্যালাইটিসের হলেও তার জীবাণু ধরা পড়ে না।
সরকারি সূত্রের খবর, গত দু’মাসে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গে আট জন মারা গিয়েছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে তিন জনের রক্তের নমুনায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের জীবাণু ধরা পড়েছে। এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে মে মাসে। জুনে মারা গিয়েছেন দু’জন। ৬ জুলাই এক জন।
মূল উপসর্গ জ্বর, খিঁচুনি, মাথাব্যথা, মাঝেমধ্যে জ্ঞান হারানো, ঝিমুনি আর ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া। এই সব স্তরের পরেই কোমা। এমন উপসর্গ নিয়েই বিচিত্র রোগটি গত বছর উত্তরবঙ্গ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সে-বার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অন্তত ১৬০ জনের মৃত্যু হয়। তা নিয়ে হইচই পড়ে যায় সারা রাজ্যে। তথ্য গোপন করার অভিযোগে ওই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার এবং জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়। পরে সাসপেন্ড হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের তৎকালীন অধ্যক্ষও।