Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মদের দোকান বন্ধের দাবি, উত্তপ্ত দেগঙ্গা

মজুত মদ রাস্তার উপর ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তাতে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার কলসুর পঞ্চায়েতের কামদেবকাটিতে।

আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মদের বোতলে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।

আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মদের বোতলে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০৩:০৮
Share: Save:

পুলিশকে আগেই বলা হয়েছিল এলাকায় মদের দোকান যেন না থাকে। তা সত্ত্বেও নতুন দোকানঘর তৈরি হওয়ায় কয়েকদিন আগেই স্থানীয় মহিলারা প্রতিবাদ জানান। বিডিও এবং দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগও হয়। কিন্তু তাতে দোকান বন্ধ তো দূর, সেই জায়গায় পাকাঘর তৈরি হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছিল কেনাবেচাও। এ খবরে ছড়াতেই খেপে ওঠেন গ্রামবাসীরা। শতাধিক মহিলা গাঁইতি, শাবল নিয়ে এসে ভেঙে দেয় দোকানঘর ও পাঁচিল। মজুত মদ রাস্তার উপর ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তাতে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার কলসুর পঞ্চায়েতের কামদেবকাটিতে।

এই তাণ্ডবের জেরে তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল দেগঙ্গার কলসুরের গৌরবঙ্গ-হাবরা রোড। পরে দেগঙ্গা থানার আইসির আশ্বাসে বিক্ষোভ থামে।

পুলিশ সুত্রে খবর, সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি মদের দোকান তৈরি হয় দেগঙ্গার মগরা-হাবরা-গৌরবঙ্গ রোডের একটি পেট্রল পাম্পের পাশে। শুক্রবার দোকানে মজুত হয়েছিল মদ। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ভিড় জমান দোকানের বাইরে। দোকানের সামনের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নামেন প্রায় দু’শো মহিলা। ভাঙচুর চালানো হয় দোকানটিতে।

মিনতি অধিকারী নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘এই রাস্তা ধরে আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে চলাচল করি। এখানে মদের দোকান তৈরি হলে মদপ্যের উৎপাত বাড়বে। অসামাজিক কাজকর্ম চলবে। তাই আমরা চাই এই মদের দোকান বন্ধ হোক। সরকার দোকানের লাইসেন্স বাতিল করুক।’’ গ্রামের মহিলাদের আশঙ্কা, বাড়ির সামনে মদের দোকান হলে স্বামীরা যেটুকু উপার্জন করেন তাও মদের নেশায় উড়িয়ে দেবেন। ছোট ছোট ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়বে। এমনিতেই গ্রামের অনেক ছেলে বাইরে থেকে মদ খেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করে। কাছাকাছি মদের দোকান হলে সেই অত্যাচার আরও বাড়বে।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মধ্যক্ষ অসিত কুমার মন্ডলের বক্তব্য, ওই দোকানের কাছেই মগরা প্রাইমারি স্কুল। ছোট শিশুদের নিয়ে অভিভাবকেরা স্কুলে যাতায়াত করেন। দোকানের জন্য মদপ্যের উৎপাত বাড়তে পারে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, মদের দোকানটির সরকারি লাইসেন্স আছে। বাসিন্দাদের অভিযোগের বিষয়টি উপর মহলে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Deganga Hooch
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE